" দ্বয়া করে একটু পড়ুন " আমার সামান্য চিন্তায় একটা বিষয়ে বুঝে আসেনা! তা হল যুগযুগ ধরে নবী, রাসুল, সাহাবী, তাবেয়ী, তাবেতাবেয়ী, সহ যারা ইসলামের সঠিক কথা বলে তাদের উপর চলে রোলার স্টীম।তাও যারা নির্যাতন চালায় তারাও নাম ধারী মুসলিম। যেমন খোলাফায়ে রাশেদ্বীননদের জীবনি, ইমাম আবু হানাফি, সহ অনেকের জীবনী পড়ে জানতে পাইলাম। বর্তমানে পিস টিবির হিসাব কষলে বুঝা যায়।যারা জাকির নায়কের বিরোধিতা করে, তারা বিধর্মী যে দূরে থাক, ১ টা নাস্তিককে আস্তিক বানাতে পারে নাই। আমার প্রশ্ন হল কারা সঠিক ইসলাম নিয়ে আছে? ভাই সকল সঠিক মতামতটা দিবেন।
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Unknown

Call

বিষয়টা বর্তমানে বহুল আলোচিত একটি বিষয়। অনেক বড় বড় আলেমরা যেমন তার পক্ষে কথা বলেছেন তেমনি অনেকে বিরোধিতাও করেছেন।

এ বিষয়ে জাকির নায়েকের নিজের  মন্তব্য হলো, "কেউ যখন খ্যাতি লাভ করে তখন স্বাভাবিক ভাবেই তার অনেক শত্রুর উদয় হয়। আমি নিজ দায়িত্ব পালনে অবিচল থাকতে ইচ্ছুক"


তার পক্ষের ব্যাক্তিদের মতামত হলো, "যারা জাকির নায়েকের বিরোধীতা করে তারা নিজেরা সারাজিবনে ১ জনকেও সত্যের পথ দেখাতে পেরেছেন কি না সন্দেহ, তাছাড়া তিনি সরাসরি কোরআন হাদীস থেকে রেফারেন্স দেন। এসব তথ্য ভুল হতেই পারেনা"


তার বিরোধীদের মতে তিনি ভুল ব্যাখ্যা দেন, মাজহাব ও শিয়া-সুন্নি বিষয়ে তিনি সম্পূর্ণ ভুল মতবাদ পোষণ করেন ইত্যাদি। এসব অভিযোগের বিষয়ে অবশ্য জাকির নায়েক কনফারেন্স করেছেন। প্রশ্নের উত্তরও দিয়েছেন।


যাই হোক, আমি আপনাকে পাড়ার মসজিদের ইমাম বা ফেসবুকের কোনো হুজুর টাইপের কারো পোস্ট দেখে সিদ্ধান্ত নিতে বলবোনা। আপনার জ্ঞান আছে, নিজেই যাচাই করে দেখুন। দোটানা থেকে মুক্তি পেতে আপনার নিজের আদালতে বিচার করাই সঠিক উপায়।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

ইসলাম সম্পকে' আমাদের প্রিয় নবী রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা যা বলেছেন একটু মনযোগ সহকারে পড়ুন আপনার উত্তর পেয়ে যাবেন ইনশাআল্লাহ। 

দলিল: বোখারী শরীফ থেকে;

আবূ খায়সামা যুহায়র ইবনুূু হারব (রহঃ) ইয়াহইয়া ইবনুূু ইয়া’মার (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি (ইয়াহইয়া ইবনুূু ইয়া’মার) বলেন, সর্বপ্রথম তাকদীর’ সম্পর্কে বসরা শহরে মাবাদ আল জুহানী কথা তোলেন। আমি (ইয়াহইয়া ইবনুূু ইয়া’মার) এবং হুমায়দ ইবনুূু আব্দুর রহমান আল হিমায়রী হাজ্জ (হজ্জ) অথবা উমরা আদায়ের জন্য মক্কা মু’আযযামায় আসলাম। আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করছিলাম যে, যদি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর কোন সাহাবীর সাক্ষাৎ পাই তাহলে তাঁর কাছে এসব লোক তাকদীর সম্পর্কে যা বলে বেড়াচ্ছে, সে বিষয়ে জিজ্ঞেস করতাম।

সৌভাগ্যক্রমে মসজিদে নববীতে আমরা আবদুল্লাহ ইবনুূু উমর ইবনুূু খাত্তাব (রাঃ)-এর দেখা পাই। আমরা তাঁর কাছে গিয়ে একজন তাঁর ডানপাশে এবং আর একজন বামপাশে বসলাম। আমার মনে হলো, আমার সাথী চান যে, আমিই কথা বলি। আমি আরয করলাম, হে আবূ আবদুর রহমান! আবদুল্লাহ ইবনুূু উমর (রাঃ)-এর কুনিয়াত ছিল আবূ আবদুর রহমান। আমার দেশে এমন কতিপয় লোকের আবির্ভাব হয়েছে যারা কুরআন পাঠ করে এবং ইল্‌মে দ্বীন সম্পর্কে গবেষণা করে। তিনি তাদের অবস্হা সম্পর্কে আরো কিছু উল্লেখ করেন এবং বলেন যে, তারা মনে করে তাকদীর- বলতে কিছু নেই। সবকিছু তাৎক্ষনিকভাবে ঘটে। আবদুল্লাহ ইবনুূু উমর (রাঃ) বললেন, তাদের সাথে তোমাদের দেখা হলে বলে দিও যে, তাদের সাথে আমার কোন সস্পর্ক নেই এবং আমার সঙ্গে তাদেরও কোন সম্পর্ক নেই। আল্লাহর কসম! যদি এদের কেউ উহুদ পাহাড় পরিমাণ সোনার মালিক হয় এবং তা আল্লাহর রাস্তায় খরচ করে, তাকদীরের প্রতি ঈমান না আনা পর্যন্ত আল্লাহ তা কবুল করবেন না।

তারপর তিনি বললেন, আমাকে আমার পিতা উমর ইবনুূু খাত্তাব (রাঃ) হাদীস শুনিয়েছেন যে, একদা আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর খিদমতে ছিলাম। এমন সময় একজন লোক আমাদের কাছে এসে হাযির হলেন। তাঁর পরিধানের কাপড় ছিল সা’দা ধবধবে, মাথার কেশ ছিল কাল কুচকুচে। তাঁর মধ্যে সফরের কোন চিহ্ন ছিল না। আমরা কেউ তাঁকে চিনি না। তিনি নিজের দুই হাঁটু নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর দুই হাঁটুর সাথে লাগিয়ে বসে পড়লেন আর তার দুই হাত নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর দুই উরুর উপর রাখলেন। তারপর তিনি বললেন, হে মুহাম্মদ! আমাকে ইসলাম সম্পর্কে অবহিত করুন। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ ইসলাম হল, তুমি এ কথার সাক্ষ্য প্রদান করবে যে, আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নেই এবং নিশ্চয়ই মুহাম্মাদ আল্লাহর রাসুল, সালাত (নামায/নামাজ) কায়েম করবে, যাকাত আদায় করবে, রামাযানের রোযা পালন করবে এবং বায়তুল্লাহ পৌছার সামর্থ্য থাকলে হাজ্জ (হজ্জ) পালন করবে। আগন্তুক বললেন, আপনি ঠিকই বলেছেন। তার কথা শুনে আমরা বিষ্মিত হলাম যে, তিনিই প্রশ্ন করেছেন আর তিনিই-তা সত্যায়িত করছেন। আগন্তুক বললেন, আমাকে ঈমান সম্পর্কে অবহিত করুন।

রাসুল বললেনঃ ঈমান হল আল্লাহর প্রতি, তার ফেরেশতাদের প্রতি, তার কিতাবসমূহের প্রতি, তার রাসুলগণের প্রতি এবং আখিরাতের প্রতি ঈমান আনবে, আর তাকদিরের ভালমন্দের প্রতি ঈমান রাখবে। আগন্তুক বললেন, আপনি ঠিকই বলেছেন। তারপর বললেন, আমাকে ইহসান সম্পর্কে অবহিত করুন। রাসুল বললেনঃ ইহসান হলো, এমনভাবে ইবাদত-বন্দেগী করবে যেন তুমি আল্লাহকে দেখছ, যদি তুমি তাকে নাও দেখ, তাহলে ভাববে তিনি তোমাকে দেখছেন। আগন্তুক বললেন, আমাকে কিয়ামত সম্পর্কে অবহিত করুন। রাসুল বললেনঃ এ বিষয়ে প্রশ্নকারীর চাইতে যাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছে তিনি অধিক অবহিত নন। আগন্তুক বললেন, আমাকে এর আলামত সম্পর্কে অবহিত করুন। রাসুল বললেনঃ তা হলো এই যে, দাসী তার প্রভুর জননী হবে; আর নগ্নপদ, বিবস্ত্রদেহ দরিদ্র মেষপালকদের বিরাট বিরাট অট্টালিকার প্রতিযোগিতায় গর্বিত দেখতে পাবে। উমর ইবনুূু খাত্তাব (রাঃ) বললেন যে, পরে আগন্তুক প্রস্হান করলেন। আমি বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করলাম। তারপর রাসুল আমাকে বললেন, হে উমর! তুমি জানো, এই প্রশ্নকারী কে? আমি আরয করলাম, আল্লাহ ও তাঁর রাসুলই সম্যক জ্ঞাত আছেন। রাসুল বললেনঃ তিনি জিবরাঈল। তোমাদের তিনি দ্বীন শিক্ষা দিতে এসেছিলেন।



ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ