শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

ইসলামে সকল খেলাধুলা হারাম ঃ জায়েয বলা কুফরি। 

হাদীছ শরীফের বিখ্যাত কিতাব ‘মুসতাদরেকে হাকিম’ এর মধ্যে হযরত আবু হুরায়রা রদ্বিয়াল্লাহুতায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে, আল্লাহ পাক-এরহাবীব, হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামইরশাদ করেন, ‘সর্বপ্রকার খেলাধুলা হারাম। তিনটি বিষয় খেলাধুলার অন্তর্ভুক্ত নয়। যেমন, ১. তীরধনুক চালনা করা, ২. অশ্বকে প্রশিক্ষণ দান করা, ৩.নিজ আহলিয়ার সাথে শরীয়তসম্মত হাসি-খুশীকরা।’

এছাড়া হযরত ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে বর্ণিত আছে, ‘আল্লাহ পাক-এর হাবীব হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন, মু’মিনের শ্রেষ্ঠ প্রশিক্ষণ হচ্ছে সাতার কাটা,আর নারীর শ্রেষ্ঠ কাজ হচ্ছে সূতা কাটা।’

যত প্রকার খেলা রয়েছে তার প্রত্যেকটির মধ্যেই না কোন দ্বীনি ফায়দা রয়েছে এবং না কোন দুনিয়াবী ফায়দা রয়েছেবরং প্রতিটি খেলা তিনটি অবস্থার কোনএক অবস্থা থেকে খালি নয়। হয় তা কুফরী হবে অথবা হারাম হবে, আর না হয় তা মাকরূহ হবে

যেখেলা বিধর্মীদের সাথে তাশাব্বুহ বা সাদৃশ্য রাখে অথবাদ্বীন ইসলাম থেকে সরিয়ে দেয়, তা সম্পূর্ণ কুফরী।’ আবু দাউদশরীফের হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, ‘যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখে, সে তাদেরইঅন্তর্ভুক্ত।’

হাদীছ শরীফ বা শরীয়তে যে সমস্ত বিষয়গুলোকে জায়িয বলা হয়েছে বা অনুমোদন করা হয়েছে, সে সমস্ত বিষয়গুলোতে যেমন দ্বীনি ফায়দা রয়েছে, তেমনি দুনিয়াবী ফায়দাও নিহিত রয়েছে। যেমন, তীর চালনা করা, অশ্বকে প্রশিক্ষণ দেয়া, সাতার কাটা, দৌড় অনুশীলন ইত্যাদি জিহাদের প্রস্তুতি গ্রহণের অন্তর্ভুক্তএবং স্বাস্থ্যকে সুঠাম ও বলিষ্ঠ রাখার কারণ

হাদীছ শরীফে ইরশাদ হয়েছে, “কোন ব্যক্তির জন্য দ্বীনের সৌন্দর্য হলো, অহেতুক বা অপ্রয়োজনীয় কাজ-কর্ম থেকে বিরত থাকা।’(তিরমিযীইবনে মাযাহমুয়াত্তা)

আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, নিশ্চয়ই (সর্বপ্রকার)অপচয়কারী শয়তানের ভাই।’ (সূরাবণীইসরাঈল/২৭)

শুধুমাত্র ব্যায়ামের জন্য,বিধর্মী, বিজাতি ও বেদ্বীনদের দ্বারা প্রবর্তিত ক্রিকেটবা ফুটবল খেলা জায়িয হতে পারে না। কারণ,ব্যায়ামের জন্য হাদীছ শরীফে বর্ণিত বিষয়গুলো যেমন তীর চালনা করা, অশ্বকে প্রশিক্ষণ দেয়া,সাতার কাটা, দৌড় অনুশীলন করা ইত্যাদিই যথেষ্ট। আর বিনোদন, সেটা যদি নাজায়িয পদ্ধতিতে হয় তাহলে যত সামান্যই হোক তাও সম্পূর্ণনাজায়িয ও হারাম

এসম্পর্কে হাফিযে হাদীছ, বাহরুল উলূম, মুফতীয়ে আ’যম,মুবাহিছে আ’যম হযরত মাওলানা মুহম্মদ রুহুল আমীন বশিরহাটি রহমতুল্লাহি আলাইহি ‘ফতওয়ায়ে আমিনিয়া’ কিতাবে বলেছেন, ‘জায়িয কাজ দ্বারা যখন ব্যায়াম করার উপায় আছে, তখন নাজায়িয কাজের দ্বারা কিরূপে জায়িয হবে? খেলায় প্রতিযোগিতা করলে কি ফল হবে? কিন্তু লাঠি, তীর ছোড়ো,তরবারী ভাঁজা, ঘোড়-দৌড় ইত্যাদিতে শত্রুদের হস্ত হতে কতকটা নিষ্কৃতি লাভের উপায় হতে পারে।পক্ষান্তরে খেলাতে এই প্রকার কোন লাভ হতে পারেনা। বরং ওটা খাঁটি খেলবাজি ভিন্ন আর কিছুই নয়।কাজেই ওটা কিছুতেই জায়িয হতে পারে না। কেবল দুনিয়াদার স্বার্থপর দু’একজন আলিম ওটা জায়িয হওয়ার ফতওয়া দিয়েছেন। তাদের ফতওয়া কিছুতেই গ্রহণীয় হতে পারে না

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ