শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

ইসলামে ব্যাংকে গ্রাহকদের থেকে নেয়া বিভিন্ন সার্ভিস চার্জ ও বিভিন্ন বিনিয়োগের লভ্যাংশ থেকে চাকুরিরতদের বেতন দেয়া হয়। তাই ইসলামে ব্যাংকে চাকুরির বেতনের টাকা সুদ হবে না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

ইসলামী ব্যাংকগুলোর দাবী হল, তারা একান্ত বাধ্যবাধকতা ছাড়া সূদের সাথে লেনদেন করেনা। তাদের দাবীর পক্ষে যদি সত্যতা মিলে, তাহলে তো কোন সমস্যা থাকার কথা না। এবং এতে চাকুরী করা বেতনের টাকা সূদ ও হবেনা। আপনার জ্ঞাতার্থে বলছি, তাদের দাবী অনুযায়ী - ইসলামী ব্যাংকগুলো টাকা বৃদ্ধি করে মূলত তিনটি উপায়ে- ১) কেনা বেচা ২) ভাড়া ৩) অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ব্যবসা ২) ভাড়াঃ এক্ষেত্রে ব্যাংক কোন মেশিনারীস বা অন্য কোন Non Fungible Goods কিনে তা গ্রাহকের কাছে ভাড়া দেয়। ৩) অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে ব্যবসাঃ ইসলামী ব্যাংক মুদারাবা বা মুশারাকা পদ্ধতিতে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে গ্রাহকের সাথে ব্যবসা করে থাকে। এই দুই পদ্ধতির সারমর্ম নিচে চিত্রের সাহায্যে নিচে দেখান হল- ক্রয়ের চুক্তিতে ভাড়াঃ ঋণ দিয়ে যেহেতু অতিরিক্ত কিছু নেয়া যাবে না, তাই ইসলামী ব্যাংকগুলোর পক্ষে কার লোন, হোম লোন এগুলো দেয়া সম্ভব নয়। তারা যেটা করে সেটা হল ক্রয়ের চুক্তিতে ভাড়া। এক্ষেত্রে ইসলামী ব্যাংক ও গ্রাহক অংশীদারী ভিত্তিতে কোন পণ্য কেনে। ধরুন একটি মোটর সাইকেলের দাম ২০০০০ টাকা। আপনি ১০০০০ টাকা দিলেন, ব্যাংক দিল ১০০০০ টাকা। মোটর সাইকেলটির মালিকানা ৫০% আপনার , আর বাকিটা গ্রাহকের। পুরো মোটর সাইকেলটা এখন আপনি যদি বাজার দরে কাউকে ভাড়া দেন, তাহলে এটার মাসিক ভাড়া হবে ধরুন ১০০০০ টাকা। ব্যাংক পুরো মোটর সাইকেলটি আপনাকেই ভাড়া দিবে। যেহেতু ব্যাংক এর ৫০% র মালিক সেহেতু আপনি তাকে ভাড়া দিবেন ৫০০০ টাকা। আর সাথে মাসে মাসে ব্যাংকের অংশের কিছু টাকা শোধ করবেন। এভাবে ক্রমান্বয়ে আপনার মালিকানার অনুপাত বাড়তে থাকবে, ফলে প্রদেয় ভাড়ার পরিমাণও কমতে থাকবে। আরেকটি ভিন্ন চুক্তিতে ব্যাংক এই মর্মে গ্রাহকের সাথে অঙ্গীকারাবদ্ধ হবে যে গ্রাহক যদি তার দায় নির্ধারিত সময়ের মাঝে পরিশোধ করে দেয়, তবে ব্যাংক বস্তুটির মালিকানা তাকে দিয়ে দেবে। (আল্লাহই অধিক অবগত)

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

বাংলাদেশের সুদি ব্যাংক গুলোর মধ্যে অন্যতন হচ্ছে ইসলামী ব্যাংক!! কিন্তু তারা গ্রাহক কে ভুল বুঝিয়ে এবং অনেক ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সুদ খায়। আপনি তাদের লোন দেয়া-নেয়ার সিস্টেম গুলো দেখলেই তা পরিস্কার বুঝতে পারবেন। সুদ হচ্ছে একটা ব্যাংকের প্রান। সুদ না নিয়ে কোন ব্যাংক লক্ষ লক্ষ গ্রাহক কে তাদের বাড়ি থেকে এনে লাভাংশ্য দিবে না। আর এই সুদের টাকা মিশ্রিত লাভাংশ্য দিয়েই ব্যংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন দেয়া হয়। শুধুমাত্র একটা ব্যংকের জব হোল্ডারদের স্যালারী হিসেব করলেই বুজতে পারা যায় যে ব্যাংক গুলো এতটাকা তাহলে কোথা পায়, অবশ্যই কিছু মাত্র বিনিয়োগের লাভাংশ্য/সার্ভিস চার্জ দিয়ে এই টাকা গুলো আসে না। ধন্যবাদ

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আপনি যেহেতু কাজ করছেন এবং সেই কাজের বাবদ তারা আপনাকে এই টাকাটা দিচ্ছে তাই এটা আপনার কাছে হারাম হবে না।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ