১৬ ভিত্তিক সংখ্যা পদ্ধতি হলো এক প্রকার সংখ্যা পদ্ধতি , যেখানে ১৬ টি াংক ব্যবহার করে সকল সংখ্যা লেখা ও ব্যবহার করা হয়। ১৬ টি অংক হল-- ০ ১ ২ ৩ ৪ ৫ ৬ ৭ ৮ ৯ A B C D E F। ১৬টি অংক ব্যবহার করা হয় বলে একে ১৬ভিত্তিক সংখ্যা পদ্ধতি বলে। আমরা সাধারণত যে সংখ্যা পদ্ধতি ব্যবহার করি তা দশমিক সংখ্যা পদ্ধতি। এছাড়াও অক্টাল ও বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতিও আছে।
আপনার ডেসিমাল হল এক থেকে দশ পর্যন্ত সব অঙ্কের সমাহার থাকবে। ডেসিমাল মানে দশটি সংখ্যার। যেমন, ০,১,২,৩,৪,৫,৬,৭,৮,৯,১০,১১,১২,১৩,১৪,১৫,১৬। এভাবে সব। যা আমরা সাধারণ বাংলায় লিখি ইত্যাদি।
আবার, হেক্সাডেসিমাল। হেক্সা-ডেসিমাল মানে ষোলটি সংখ্যা। এটি হল শুন্য থেকে নয় পর্যন্ত । যেমন,০, ১,২,৩,৪,৫,৬,৭,৮,৯,। তারপর থেকে কিন্তু A,B.C.D.E.F পর্যন্ত হবে।
তার পর কিভাবে হিসেব করবেন? বুদ্ধি খাটিয়ে এখানেও A=১০, B=১১, C=১২,..... F=১৫ পর্যন্তই। দেখুন তো ০ থেকে F পর্যন্ত মোট ষোলটি সংখ্যা কিনা। তবে এর বেশি হেক্সাডেসিমাল অক্ষর নেই। তাই F পর্যন্তই। কেননা তার নাম যে এটাই।
আপনাকে হিসেবটা বুঝিয়ে দিই কাজে লাগতে পারে।
এভাবে আবার ১৬ শুরু হয়ে গেলে সেই ১০ শুরু। ১৭=১১,১৮=১২ এবং ১৯=১৩.......এভাবে আবার ২৫=১৯ তারপর? ২৬ =১A, ২৭=১B, ২৮=১C...........আবার 42=2A, ৪৩=2B.......এভাবে। যতবার সামনে পড়বে ততবার হিসেব করবেন।
এবার আসি অক্টাডেসিমালে। এক্ষেত্রে গুনতে হবে আটটা সংখ্যা। শুন্য থেকে সাত পর্যন্ত। মোট কিন্তু আটটা খেয়াল করুন। ০,১,২,৩,৪,৫,৬,৭। তার পর কিভাবে হিসেব করবেন? বুদ্ধি খাটিয়ে। ৮= ১০, ৯=১১.............এভাবে। কেননা এক্ষেত্রে আপনাকে সংখ্যাগত ৮ কিংবা ৯ কিংবা১৮ কিংবা ১৯ এরকম ব্যবহার করতে পারবেন না। নামটাই যে অক্টা তাই।
বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতিও আছে।