পরমাণু বিজ্ঞানীদের দেয়া বুলেটিনে জানা যায়, পৃথিবীতে এখন মোট ১৬ হাজার ৩০০টি পারমাণবিক বোমা মজুদ আছে। কিন্তু ফেডারেশন অব আমেরিকান বিজ্ঞানীদের মতে, এই বোমার সংখ্যা প্রায় ১৫ হাজার ৬৫০টি। মোট ১৪টি দেশ তাদের ৯৮টি স্থানে এসব বোমা মজুদ করে রেখেছে। মোট বোমার মধ্যে প্রায় ১০ হাজার বোমাই সরাসরি সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ছাড়াও এক হাজার ৮০০ পারমাণবিক বোমা সম্পূর্ণ সক্রিয় অবস্থায় রাখা হয়েছে, যাতে মাত্র কয়েক মিনিটের নোটিশে এই বোমাগুলো শত্রুপক্ষের ওপর নিক্ষেপ করা যায়। আর এই সক্রিয় বোমাগুলোর ৯৩ শতাংশই যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার মজুদ করা। তবে স¤প্রতি আরেক বুলেটিনে জানানো হয় যে, যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ৭১০০টি পারমাণবিক বোমা রয়েছে। যাদের মধ্যে দুই হাজার ৮০টি শত্রুসেনার দিকে তাক করা। এছাড়া দুই হাজার ৬৮০টি নিরাপদ স্থানে মজুদ আছে এবং দুই হাজার ৩৪০টি বোমাকে ত্রুটি সারানোর জন্য রাখা হয়েছে। পাশাপাশি রাশিয়ার কাছে আছে প্রায় আট হাজার পারমাণবিক বোমা। ব্রিটেনের কাছে আছে মাত্র ২১৫টি পারমাণবিক বোমা। দেশটির কাছে থাকা চারটি নিউক্লিয়ার সাবমেরিন প্রত্যেকটি ১৬টি পারমাণবিক বোমা বহন করে এবং সার্বক্ষণিক মহড়ার ভেতর থাকে এই জাহাজগুলো। ফ্রান্সের কাছে আছে ৩০০টি পারমাণবিক বোমা। ফ্রান্সের দেয়া তথ্য মতে, তাদের কাছে থাকা কোনো পারমাণবিক বোমাই কার্যত উৎক্ষেপণের জন্য প্রস্তুত করে রাখা হয়নি। যদিও যুক্তরাজ্যের মতো তারাও একটি সাবমেরিনকে সর্বদা প্রস্তুত রাখে। এশিয়ার মধ্যে চীনের কাছে আছে ২৫০টি বোমা। ধারণা করা হচ্ছে, চীন ক্রমশ পরমাণু শক্তি বাড়াচ্ছে। সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ইসরায়েলের কাছে আছে ৮০টি পরমাণু বোমা। যদিও পরমাণু বোমা থাকার কোনো ঘোষণা ইসরায়েলের পক্ষ থেকে এখনো দেয়া হয়নি। পাকিস্তানের কাছে ১০০-১২০টি এবং ভারতের কাছে ৯০-১১০টি, উত্তর কোরিয়ার কাছে ১০টি বোমা রয়েছে। ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেইন টু অ্যাবোলিশ নিউক্লিয়ার উইপনস (আইসিএএন)-এর দেয়া তথ্যানুসারে, আরো প্রায় ৪০টি দেশ ক্রমাগত পারমাণবিক সক্ষমতা অর্জনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।