শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

মুসলমানের পরস্পরের প্রতি যে ৬টি শিষ্টাচারের কথা শরী‘আতে বর্ণিত হয়েছে, তন্মধ্যে একটি হ’ল, ‘সাক্ষাত হ’লে সালাম করা (নাসাঈ হা/১৯৩৮; মিশকাত হা/৪৬৩০) । এটি খাওয়া ও খাওয়ার বাইরে যেকোন সময়ে হ’তে পারে। এমনকি পেশাবরত অবস্থায় রাসূল (ছাঃ)-কে সালাম দিলে তিনি পরে তার জওয়াব দিয়েছেন (আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৪৬৭) । সালাম না দিলে কাউকে খেতে ডেকোনা’ মর্মে বর্ণিত হাদীছটি মওযূ বা জাল (যঈফাহ হা/১৭৩৬) । অতএব সালাম দিলে তাকে খেতে ডাকতে হবে ভেবেই হয়তবা অনেকে সালাম দিতে নিষেধ করেন। অথচ এর কোন বিশুদ্ধ ভিত্তি নেই।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

সালাম গুরুত্বপূর্ণ একটি সুন্নত। তবে সালাম দেয়ার ক্ষেত্রে মূলনীতি হল, যাকে সালাম দেয়া হবে সে সালামের উত্তর দানে সক্ষম হতে হবে। সে তৎক্ষণাত সালাম দানে সক্ষম না হলে তাকে সালাম দেয়া উচিৎ নয়। ফুকাহায়ে কেরাম সালামের উত্তর দানে অক্ষম ব্যক্তকে সালাম দেয়া মাকরুহ বলেছেন। সুতরাং কোনো ব্যক্তি যদি খাবার গ্রহণ কালে স্বাভাবিক কথা বার্তা বলে বা বলতে সক্ষম হয় তাহলে তাকে সালাম দেয়া যাবে। পক্ষান্তরে যদি সে খাদ্য চর্বনে ব্যস্ত থাকে তাহলে তাকে সালাম দেয়া মাকরুহ হবে। এবং এ জাতীয় মুহূর্তে সালাম দেয়া হলে সে সালমের  জবাব দেয়াও আবশ্যক হয় না। ফাতাওয়া শামী ২/৩৭৫, ফাতাওয়া মাহমূদিয়া ২৮/১৯২

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ