শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

আপনি কোন আলেমের সাথে দেখা করুন।আর পির সবাই ভালো না।যে পীর টাকা খায় সে পির ভন্ড।আপনার বিবেক দিয়ে ভাবুন তা ঠিক না ঠিক নয়।আর ব্যাখ্যা সঠিক কিনা তার দলিল জানতে চান।আর তা সঠিকভাবে বুঝার চেষ্টা করুন। আর প্রশ্ন ঠিক ভাবে করার চেষ্টা করুন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

আমাদের সমাজে পীর নিয়ে এক ভয় ও ঘুনা চলে আসছে। আসারই কথা। একটা সময় ছিল খাজা বাবা যিনি আধ্যাত্মিক শক্তির অধিকারী ছিলেন এবং দুনিয়াবিমূখ। পরে আসলেন আরো কত শত সত্যিকারের অলি দরবেশ। শাহ জালাল, শাহ পরাণ, 360 আউলিয়া সহ অনেক। এঁরা কেউই দুনিয়া লোভী ছিলেন না। শূন্য হাতে এসেছেন, শূন্য হাতেই চলে গেছেন। যদি এমন হতো যে,অন্য দেশ থেকে এসে সম্পদ নিয়ে নিজ দেশে চলে গেছেন তবে একটা কথা ছিল। কেউই তা করেননি। শুধুমাত্র ইসলাম প্রচারের নিমিত্তেই এখানে এসেছেন ও এখানে শেষ জীবন পর্যন্ত থেকে গেছেন। নিজের আত্মীয় স্বজন, দেশ ইত্যাদির কোন মায়া করেননি। যাই হোক, তাঁরা যেমন ইসলাম প্রচারক ছিলেন তেমনি ছিলেন পীরও। পীর মানে অবিভাবক। তাঁরা যেহেতু আপনাকে ধর্ম বিষয়ে দীক্ষা দিতেন ও ভুল হলে অবিভাবকের ন্যায় ভুমিকা পালন করতেন তাই সে অর্থে তাঁরা পীর ছিলেন। শিক্ষকও বলতে পারেন। যেহেতু তারা ধর্ম শিক্ষা দিতেন।(পীর শব্দটি ফার্সি।)

আমাদের নবী দুনিয়া থেকে পর্দা করার পরে সাথে সাথে ও পরে বহু মিথ্যা নবী আগমন করেছে। সর্বশেষ কাদিয়ানী। আপনার কাছে আমার প্রশ্ন যদি মিথ্যা নবী আগমন করে তবে কি সত্য নবীর নবী হওয়া বিষয়ে কোন জটিলতা থাকে? অবশ্যই না। 

ঠিক তেমনি যখন কোন পীর সাহেবের চরিত্রের গুনাবলী দেখে, তাঁর প্রতি মানুষের ভক্তি ভালবাসা দেখে কেউ নিজেকে হীন উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য পীর দাবি করে তবে সত্যিকারের পীর কখনো ভন্ড হয়ে যায় না। মিথ্যা খোদা দাবিদারও এই দুনিয়াতে কম ছিল না। নমরুদ, ফেরাউন এদের অন্যতম। তাই বলে কি খোদার ক্ষমতা বা সত্য হওয়া নিয়ে কারো দ্বিমত আছে? নাই।

এখন লক্ষ করুন, পৃথিবীতে যত কিছু নিয়ে মিথ্যা দাবিদার বের হয়েছে তার বিপরীতে সত্য অবশ্যই ছিল। যেমন, মিথ্যা খোদা দাবিদার ছিল । কারণ সত্য আছে। মিথ্যা নবী দাবিদার ছিল কারণ সত্য নবী আছেন তাই। ঠিক তেমনি যখন মিথ্যা দাবিদার পীর দরবেশ দেখা যায় তার মানে সত্য আছে। হাদিস শরীফে বলা  আছে (অনেকটা এরকম) এমন কোন যুগ নেই যে যুগে কোন অলি থাকে না। প্রত্যেকটি যুগে আল্লাহর অলি বিরাজমান থাকেন। তাদের কে চিনতে হবে। জানতে হবে। ভন্ড ভন্ড এর যে রব উঠেছে সেখানে গা ভাসিয়ে দিলে চলবে না। ভন্ড শয়তান বের হয়নি এখনো। সবাই নিজেকে ভাল বলে। তার মানে মন্দ এর ডুপ্লিকেট বের হয় না, ভাল এর ডুপ্লিকেট হয়। বাটা জুতার ডুপ্লিকেট হয়, কখনো শুনেছেন, রাস্তায় বিক্রি হওয়া রাটা জুতার ডুপ্লিকেট হতে?


প্রত্যেকটি পীর সাহেব দ্বীন ও ধর্মের জন্য কিছু না কিছু করে যাবেন। শুধু দুনিয়াবী কর্মে তারা লিপ্ত থাকবেন না, দাঁড়ি কামিয়ে লাট হবেন না, ছেলে মেয়ের ধর্মীয় জ্ঞান থাকবে না। মুরিদ দের নামায রোজার কোন ঠিক ঠিকানা থাকবে না, নিজের ঘরের মেয়েদের পর্দার কোন খেয়াল থাকবে না। যাদের সাথে বৈবাহিক বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছে তারাও পরহেজগার না হয়ে বড় বড় প্রভাব শালী নেতা হবেন এগুলো কোন পীরের আলামত হতে পারে না। তাঁরা হবেন দুনিয়া বিমূখী, মুরিদদেরও বানাবেন এমন। নিজের যেমন সুন্নাত ঠিক থাকবে, নামায, রোজা ঠিক থাকবে, তেমনি মুরিদও তেমনি হবে। এরা নারীদের সাথে দেখা করবেন না, তাদের সাথে কথাও বলবেন না, যাদের দেখা ও কথা বলা ইসলামে হারাম। রাজনীতিতে লাফালাফি করা, মিথ্যাচার করা, নারীদের সাথে এক মঞ্চে বসে বক্তৃতা করা এসব কোন পীর, আলেম বা মুসলিমের কাজ হতে পারে না। আজকাল পীর সাহেবরা হরতাল ডাকছে, কোন ইসলাম দেশ ও দেশের মানুষ মারার এই হরতাল সাপোর্ট করে? লেংটা হয়ে,সিগারেট খেয়ে, ময়লা কাপড় পরে, চুল দাঁড়ি জট পাকিয়ে পীর দাবি করছে। নিজেদের নামে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলছেন। এদের থেকে বাঁচুন।

এরকম অসৎ দুশ্চিরিত্র মুক্ত কাউকে  পাইলে তার কাছে মুরিদ হোন, দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যানই কল্যান।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
ARrand1

Call

আজকাল খুব শোনা যায় পীরদেরকে নিয়ে আজেবাজে সব কথা...এখন যদি আমি বলি দাড়িওয়ালা পানজাবিওয়ালা লোকগুলাও বাজে কাজ করে তাহলে এর answer পাবো কিছু দাড়িওয়ালা পানজাবিওয়ালা লোকদের দিয়ে ইসলাম বিচার করা যাবেনা

ঠিক তেমনি আশেপাশে অনেক ভনডোপীর দেখতে পাবেন তবে সব পীর ভনডো না...পীরদের ইতিহাস পড়ুন ভালো খারাপ ধরতে পারবেন আর পীরেরা হয় আললাহ পাগোল

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

যে পীরের মধ্যে নবীর পরিপূর্ণ সুন্নত থাকবে,সে পীর খাঁটি পীর,তাঁকে বিশ্বাস করতে পারেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

পির নিয়ে যদী আপনার সমস্যা থাকে তবে, আপনার কোন পির মানার দরকার নেই। কারন এটা বাধ্যতামূলক নয়। আপনি একজন ভালো আলেমের পরামর্শ নিয়ে কুরআন হাদীস নিয়ে নিজেই গবেষনা করুন। কোন আলেমের কথা যদী কুরআন হাদীস বিরুধী হয় তবে তাকেও মানার দরকার নাই। আমি এখানে হাদীস বলতে সহীহ হাদীসের কথা বলছি। নিজে গবেষনা না করলে সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ধন্যবাদ 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ