ছাত্রীদের কেউ কেউ শিক্ষিকাদের সাথে উপহাস করে এবং তাদেরকে মন্দ বা হাস্যকর উপাধি দ্বারা ডাকাডাকি করে; আর তারা বলে যে, আক্ষরিক অর্থে তাদেরকে এই নামে ডাকা হয় না, বরং এমনটি করা হয় শুধু রসিকতার ছলে?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

মুসলিম ব্যক্তির জন্য অবশ্যই করণীয় কাজ হল তার জিহ্বাকে এমন কথা বলা থেকে হেফাজত করা, যা অপর মুসলিমদেরকে কষ্ট দেয় অথবা তাদের সম্মানহানি করে, কারণ, হাদিসের মধ্যে আছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: « لا تؤذوا المسلمين ولا تعيروهم ولا تتبعوا عوراتهم». (أخرجه أحمد و أهل السنن ) . “তোমরা মুসলিমদেরকে কষ্ট দিয়ো না, তাদেরকে দোষারোপ করো না এবং তাদের গোপন বিষয়ের অনুসরণ করো না।” - (আহমদ, তিরমিযী, আবূ দাউদ, নাসায়ী ও ইবনু মাজাহ), আর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা‘আলা বলেন: ﴿وَيۡلٞ لِّكُلِّ هُمَزَةٖ لُّمَزَةٍ ١ ﴾ [الهمزة: ١] “দুর্ভোগ প্রত্যেকের, যে পিছনে ও সামনে লোকের নিন্দা করে।”- ( সূরা আল-হুমাযাহ: ১), আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন: ﴿هَمَّازٖ مَّشَّآءِۢ بِنَمِيمٖ ١١ ﴾ [القلم: ١١] “পিছনে নিন্দাকারী, যে একের কথা অন্যের কাছে লাগিয়ে বেড়ায়।”- ( সূরা আল-কলম: ১১), আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেন: ﴿وَلَا تَنَابَزُواْ بِٱلۡأَلۡقَٰبِۖ ﴾ [الحجرات: ١١] “আর তোমরা একে অন্যকে মন্দ নামে ডেকো না...।” - ( সূরা আল-হুজুরাত: ১১), সুতরাং মুসলিম ব্যক্তির মানহানি করা এবং তাকে কষ্ট দেয়া হারাম, যদি সে রসিকতার ছলে এই ধরনের কথা বলে, তবে সে এটাকে ওযর হিসেবে পেশ করতে পারবে না ঐ ব্যক্তিদের মত, যারা বলে: ﴿...إِنَّمَا كُنَّا نَخُوضُ وَنَلۡعَبُۚ ...﴾ [التوبة: ٦٥] “আমরা তো আলাপ-আলোচনা ও খেল-তামাশা করছিলাম।”- (সূরা আত-তাওবা: ৬৫)। শাইখ ইবনু জিবরীন ফায়দা ও ফতোয়া (فوائد و فتاوى): পৃ. ১০৮

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ