আসলে এখানে হাত থাকতেও পারে আবার নাও পারে। কিন্তু আমরা সবসময় যেটা দেখি সেটাই সত্য নয়। আমরা ভাবছি ধর্মঘটের পরে এগুলো হলো এবং সাকিবের সাথে পাপনের দ্বন্দের পরেই নিষেধাজ্ঞা আসল এ কারণে মনে হয় পাপনই করিয়েছেন। আসলে সেরকম নয়। এটা প্রায় দেড় বছর ধরেই তদন্ত চলছে, জানুয়ারি মাসেও সাকিবকে এ নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সাকিব এটা বিসিবিকে সেভাবে জানায় নি। তবে সত্যি কথা বলতে সাকিবের নিষেধাজ্ঞা পাওয়াতে পাপন খুশিই হয়েছে, কয়েকদিন আগে এক ইন্টারভিউতে এ সম্পর্কে তিনি সামান্য আভাস দিয়েছিলেন। তার কথায় মনে হচ্ছিল ব্যাপারটা আনন্দের। সার্বিকভাবে ধারণা করা যায় নিষেধাজ্ঞার পরিমাণ সামান্য বর্ধিত করায় বিসিবির হাত রয়েছে। এরকম একটা অপরাধে (ভুলে) দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা অনেক যেখানে বল টেম্পারিং এর নিষেধাজ্ঞা মাত্র এক বছর ছিল। তবে সাকিবের দোষটা নিতান্তই অল্প নয়। সে জুয়াড়ির সাথে কথা চালিয়েছে এবং দেখা করতে আগ্রহ দেখিয়েছে যেটা সন্দেহজনক বটে। তবে এজন্য বড়জোর ৫-৬ ম্যাচ নিষিদ্ধ করা যেত, এতটা সময় অনেক বেশি। আদৌ সাকিব আবার ফিটনেস নিয়ে ফিরতে পারবে কি না সেটাই এখন প্রশ্ন!