মানুষের মৃত্যু যদি কোনো দূর্ঘটনা বা রোগের কারনে হয় তাহলে আল্লাহ তায়লা কেন আজরাইল সৃষ্টি করলেন?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Rahinislam

Call

আজরাইল যদি সরাসরি এসে মানুষের জান কবুজ করতো তাহলে মানুষ আজরাইলকে দোষারোপ করতো।এমন হয়ছিলো মুসা (আ) কে জান কবুজ করতে এজন্য আজরাইলের কনো দোষ না দেখাতে পারে তাই আল্লাহ এই নিয়ম টা করেছেন

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

মানুষ যখন দূর্ঘটনার মুখে পতিত হয় তখন যদি তার হায়াত শেষ হয়ে যায় তবে সে মারা যাবে।কোনো গাড়ি বা অন্যকিছু তার প্রাণ নিতে পারে না আজরাইল তার প্রাণ নেয়

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
HMMOBAROKBD

Call

প্রত্যেক প্রাণীর জন্য ‘মৃত্যু’ যেমন অনিবার্য তেমনি তার দিন-ক্ষণও নির্ধারিত। সেই নির্ধারিত সময়েই তার মৃত্যু হবে। এতে সামান্য এদিক-সেদিক হবে না।  আল্লাহ তাআলা বলেছেন, وما كان لنفس ان تموت الا باذن الله كتابا موجلا তরজমা : আল্লাহর হুকুম ব্যতীত কারো মৃত্যু হতে পারে না। কেননা, তা সুনির্ধারিত।-সূরা আলইমরান : ১৪৫ আল্লাহ তাআলা আরো বলেন, لو يواخذ الله الناس بظلمهم ما ترك عليها من دابة ولكن يوخرهم الى اجل مسمى فاذا جاء اجلهم لا يستأخرون ساعة ولا يستقدمون তরজমা : আর যদি আল্লাহ মানুষকে তাদের জুলুমের কারণে শাস্তি দিতেন তবে ভূ-পৃষ্ঠে বিচরণকারী কোনো প্রাণীকেই রেহাই দিতেন না, কিন' তিনি এক নির্দিষ্ট কাল পর্যন্ত তাদেরকে অবকাশ দিয়ে থাকেন। অতঃপর যখন তাদের নির্ধারিত সময় উপস্থিত হয় তখন তারা মুহূর্তকাল বিলম্ব অথবা ত্বরা করতে পারে না।-সূরা নাহল : ৬১।সুতরাং -কোরানের এসব আলোচনা থেকে বুঝা যায়, মৃত্যু একটি সুনিশ্চিত বিষয়,যার দিনক্ষণও নির্ধারিত৷আল্লাহ রাব্বুল আলামীন এসব বিষয়ে সর্বজ্ঞাত ও সর্বজ্ঞানী৷  ইসলামের আকীদা সমূহের মধ্যে  একটি হলো,ফেরেশতাদের উপর ঈমান আনা৷ (হযরত আযরাঈল আঃ আল্লাহর ফেরেশতা ও তাকে আল্লাহ পাক সমস্ত মাখলুকের জান কবজের দায়িত্ব দিয়েছে, এবিষয়ে আমাদের কোন সন্দেহ নেই, এবং থাকলে ঈমানদার হওয়া যাবে না৷)  হ্যা!আল্লাহ পাক চাইলে সরাসরি আজরাইল আঃ এর দ্বারা মানুষের মৃত্যু ঘটাতে পারে,এবং পূর্বে এমন নজির আছে,আর এখনও৷ বর্তমান হার্টএট্যাক রোগ এর একটি উদাহরণ৷ এসব তো ডাঃরা একটা নাম দিয়েছে মাত্র৷ কিন্তু  আল্লাহ তায়ালা এমনটি করেনা,কখনো প্রিয়জনদের শান্তনার উদ্দেশ্যে আর কখনো বান্দাকে ক্ষমা করার উদ্দেশ্যে৷ উল্লেখ্য -মুমিনদের উপর বালা-মুসিবত, আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমত সরূপ!যেমনটি নিচের হাদিসগুলো লক্ষ্য করুন৷  ★প্লেগ রোগে মারা যাওয়া। দলীল হচ্ছে নবী আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী: “প্লেগ রোগে মৃত্যু প্রত্যেক ঈমানদারের জন্য শাহাদাত।”[সহিহ বুখারী (২৮৩০) ও সহিহ মুসলিম (১৯১৬)]  ★যে কোন পেটের পীড়াতে মৃত্যুবরণ করা। দলিল হচ্ছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী: “যে ব্যক্তি পেটের পীড়াতে মৃত্যুবরণ করবে সে শহিদ।” [সহিহ মুসলিম (১৯১৫)] ★কোন কিছু ধ্বসে পড়ে অথবা পানিতে ডুবে মৃত্যুবরণ করা। দলিল হচ্ছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বাণী: “পাঁচ ধরনের মৃত্যু শাহাদাত হিসেবে গণ্য। প্লেগ রোগে মৃত্যু, পেটের পীড়ায় মৃত্যু, পানি ডুবে মৃত্যু, কোন কিছু ধ্বসে পড়ে মৃত্যু এবং আল্লাহর রাস্তায় শহিদ হওয়া।” [সহিহ বুখারি (২৮২৯) ও সহিহ মুসলিম (১৯১৫)] ★প্রসবউত্তর প্রসূতির মৃত্যু অথবা গর্ভবতী অবস্থায় নারীর মৃত্যু। এর দলিল হচ্ছে আবু দাউদ (৩১১১)  সুতরাং -জান কবজের দায়িত্ব হযরত আজরাইল আঃ এর,দুর্ঘটনায় মৃত্যু /রোগব্যাধিতে মৃত্যু, এসব আল্লাহর ইচ্ছে ও নিয়ম৷ আল্লাহ চাইলে তার বিপরীত ও করতে পারেন৷  আল্লাহ আমাদের ঈমান -আক্বিদা ঠিক করার তাওফিক দিন৷ 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ