মূলত সব ধরনের মৌল সম্পর্কে সহজেই যাতে ধারণা লাভ করা যায়, সেই জন্যই পর্যায় সরণির সৃষ্টি। এর সাহায্যে কোনো মৌলের ভৌত ও রাসায়নিক ধর্মাবলি, বিক্রিয়া, প্রকৃতি, সক্রিয়তা ইত্যাদি সম্পর্কে জানা যায়। বিস্তারিত জানতে Click here
#অ্যাক্টিনাইড ও ল্যান্থানাইড সিরিজের মৌলগুলোর শ্রেণী সম্বন্ধে সুস্পষ্ট ধারণার জন্য আধুনিক পর্যায় সারণী তৈরি করা হয়। #ক্ষার ধাতু, মৃৎক্ষার ধাতু, অবস্থান্তর মৌল, অন্তঃঅবস্থান্তর মৌল, এবং দুর্বল ধাতু এই সবগুলোকে একত্রে ধাতু বলা হয়। হ্যালোজেন এবং নিষ্ক্রিয় গ্যসসমূহও অধাতু। এগুলির সম্পর্কে পরিপুর্ণ ব্যাখ্যার জন্য আধুনিক পর্যায় সারণী গঠন করা হয়। # স্বল্প পরিসরে মৌলসমূহকে তাদের ধর্মের ভিত্তিতে ভাগ করার জন্য আধুনিক পর্যায় সারণি গঠন করা হয়েছে। #আধুনিক পর্যায় সারণি দেখেই কোনো একটি মৌলের রাসায়নিক আচরণ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। # মৌলগুলির ইলেকট্রন-বিন্যাস এবং ধর্ম বিস্তরভাবে ব্যাখ্যা করার জন্য আধুনিক পর্যায়-সারণি গঠন করা হয়েছে। #IUPAC এর সুপারিশ অনুযায়ী উপশ্রেণি A এবং উপশ্রেণি B -এর অবস্থান নিয়ে পূর্বে যে মতবাদ ছিল তা দূর করার জন্য পর্যায়-সারণির আধুনিক রূপটি প্রকাশ করা হয়েছে।
পৃথিবীতে এই পর্যন্ত আবিষ্কৃত মৌলের সংখ্যা ১১৮টি।এই মৌলগুলোর ধর্ম,রাসায়নিক গঠন,আয়নিকরন শক্তি ইত্যাদির মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য আছে।১১৮টি মৌলের এসব ভিন্ন ভিন্ন ধর্ম মনে রাখা অসম্ভব।তাই সকল মৌলের ধর্ম সহজেই মনে রাখার জন্য মৌলসমূহকে ১৯৬৭সালে রাশিয়ান রসায়নবিদ দিমিত্রি ম্যান্ডেলিফ পর্যায় ক্রমিকভাবে সাজান।