দুই রাকাত নফল নামাজ পডে আল্লাহর কাছে নিজের পাপ কাজের জন্য ওনুতপ্ততা শিকার করতে হবে আর তওবার দোয়া পডতে হবে আস্তাতাওবা করার শ্রেষ্ঠ দোয়া; "আসতাগফিরুল্লা -হাল আ’যীমাল্লাযী লা- ইলা-হাইল্লাহু ওয়াল হা’ ইয়ুল ক্বাইয়ূমু ওয়াআতুবু ইলাইহি।" "আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। যিনি ছাড়া ইবাদতের আর কোন যোগ্য উপাস্য নেই। যিনিচিরঞ্জীব ও চিরস্থায়ী। আমি তাঁর কাছে তাওবা করছি। রাসুলুল্লাহ( সাঃ) বলেছেন- “যেই ব্যক্তি এই দোয়া পড়বে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেবেন ,যদিও সে জিহাদের ময়দান থেকে পলাতক আসামী হয়” । অর্থাৎ সে যদি বড় রকমের গুনাহগার হয় তবুও আল্লাহ তাকে ক্ষমা করবেন। (তিরমিযী ৪ / ৬৯ ,আবুদাঊদ২ / ৮৫, মিশকাত হা/২৩৫৩) হে আল্লাহ! আমাদের সবাইকে ক্ষমা করুন।
পুনরায় পাপ না করার সংকল্পসূচক উক্তিকে তওবা বলে। কবীরা গুনাহ হতে তওবা করতে চাইলে অনুতপ্ত হয়ে শুধু মুখে তওবা করলেই চলবে না, নামাজ পড়ে তওবা করতে হবে। নামাজ পড়ে তওবা করে মোনাজাতে কেঁদে কেঁদে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে, যাতে আল্লাহ খুশি হয়ে বান্দাকে ক্ষমা করে দেন। সবসময় 'লা হাওলা ওয়ালা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ' পাঠ করুন। যার অর্থঃ 'আল্লাহর সাহায্য ব্যতীত পাপ কাজ থেকে বিরত থাকা ও নেক কাজ করার কোনো উৎস নেই'। সবসময় এটি পড়লে আল্লাহ আপনাকে পাপ কাজ থেকে বিরত থাকতে ও নেক কাজ করতে সাহায্য করবে। ধন্যবাদ।
কবিরা গুনাহ করলে অবশ্যই আল্লাহ র ইবাদত/নামাজ আদায় করতে হবে।
আল্লাহ আয়ালা বলেন- [ আমি অনশ্যই অতি ক্ষমাশীল তার প্রতি যে তওবা করে, এবং আমার ইবাদত/সৎ কর্ম করে/ইমান আনে। (সূরা তা-হা আয়াত - ৮২)]
আল্লাহ তায়াল আমাদের সৃষ্টিকর্তা। আমরা ভুলে অনেক পাপ করে ফেলি আমরা যদি কাছে ক্ষমা চাই তাহলে পান। তবে তার জন্য আমাদের অবশ্যই ইমান আনতে হবে।
তাওবা করার জন্য জন্য কয়েকটি শর্ত আছে। মৌখিক তাওবার সাথে সাথে সে বিষয়গুলোও জরুরী। একজন ব্যক্তি যখন সেই শর্তগুলো পূরণ করত তাওবা করে তখন তার তাওবা গৃহিত হয়। নিচে সেগুলো উল্লেখ করা হলো।
১. পাপ কাজ ছেড়ে দিতে হবে।
২. অতীতের সমস্ত পাপ কাজ ও ভুল ত্রুটির কথা মহান আল্লাহর কাছে স্বীকার করে তার জন্য অনুতপ্ত ও লজ্জিত হতে হবে।
৩. অন্তরে সেসব কাজগুলোর প্রতি ঘৃণা রেখে সেগুলোতে ফিরে না যাওয়ার মজবুত প্রতিজ্ঞা করতে হবে।
তাছাড়া হাদীসে তাওবার জন্য দুরাকাত পড়েও তাওবা করার প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে। তবে এটা জররী না। মহানবী (সাঃ) বলেন, “যে ব্যক্তি কোন গুনাহ করে ফেলে অতঃপর উঠে ওযূ করে ২ রাকআত নামায পড়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, সে ব্যক্তিকে আল্লাহ মাফ করে দেন।”অতঃপর মহানবী (সাঃ) এই আয়াত তেলাওয়াত করেন-
)وَالَّذِيْنَ إِذَا فَعَلُوا فَاحِشَةً أَوْ ظَلَمُوْا أَنْفُسَهُمْ ذَكَرُوا اللهَ فَاسْتَغْفَرُوْا لِذُنُوْبِهِمْ، وَمَنْ يَّغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلاَّ الله، وَلَمْ يُصِرُّوْا عَلَى مَا فَعَلُوْا وَهُمْ يَعْلَمُوْنَ، أُولَئِكَ جَزَاؤُهُمْ مَّغْفِرَةٌ مِّنْ رَّبِّهِمْ وَجَنَّاتٌ تَجْرِيْ مِنْ تَحْتِهَا الأَنْهَارُ خَالِدِيْنَ فِيْهَا(
অর্থাৎ, আর যারা কোন অশ্লীল কাজ করে ফেলে অথবা নিজেদের প্রতি জুলুম করে (পাপ করে) ফেলে অতঃপর সাথে সাথে আল্লাহকে স্মরণ করে নিজেদের পাপের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে; আর আল্লাহ ছাড়া আর কে পাপ ক্ষমা করবে? আর তারা জেনে-শুনে নিজেদের অপরাধের উপর হ্ঠকারিতা করে না। ঐ সকল লোকেদের পুরস্কার হল তাদের প্রতিপালকের কাছে ক্ষমা এবং সেই বেহেশ্ত যার পাদদেশে নদীমালা প্রবাহিত; সেখানে তারা চিরকাল বাস করবে।
-সুনানে আব দাঊদ: হা. নং ১৫২১, সহিহ তারগিব: হা. নং ৬৭৭
সুতরাং আপনি উপর্যুক্ত আলোচনা মনোযোগ দিয়ে পাঠ করুন আশাকরি আপনার উত্তর পেয়ে যাবেন। আপনার প্রতি শুভ কামনা রইল।