আমার মেধা একদমই দূর্বল আমি কোন কিছুই মনে রাখতে পারি না|আমি মনোযোগ সহকারে চেষ্টা করেছি নানান বিষয় মনে রাখতে বা মুখস্ত করতে কিন্তু আমি পারি না। যার জন্য আমি খুবই সমস্যায় আছি। আর আমার মনে হচ্ছে যে আমার জীবন টাই ব্যর্থ। যদি কেউ এ বিষয়ের সমাধান জেনে থাকেন প্লিজ জানাবেন 
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

আপনি নিয়মিত পুষ্টিকর খাবার খান, পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান এবং প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন।এছাড়া আপনি কোন হোমিওপ্যাথিক ঔষধের দোকান থেকে "ব্রেইন টনিক" সিরাপ সকাল ও সন্ধায় খালি পেটে এক চা চামচ এবং সাথে সম পরিমাণ ঠান্ডা পানি মিশিয়ে তিন ফাইল খান ইনশাআল্লাহ উপকার পাবেন।আর আপনি বেশী বেশী "রাব্বি যিদনি ইলমা" এই দোয়াটি পড়ুন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

রাতে ৬ ঘণ্টার কম ঘুম হলে তা বার্ধক্য প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে মস্তিষ্কে বাঁধার সৃষ্টি করে, জানান রচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. মাইকেন নেডেরগার্ড৷ তিনি জানান, এর জন্য জরুরি হচ্ছে গভীর ঘুম৷ এটা না হলে মস্তিষ্ক প্রায় সাত বছর বেশি বুড়িয়ে যেতে পারে৷ একটি গল্প পড়ে পুরো গল্পটা মনে রাখুন৷ এবার শুরু থেকে না বলে শেষ বা পেছন থেকে গল্পটা মনে করতে থাকুন৷ 


এই পন্থা মস্তিষ্কের কোষগুলোকে সচল তো রাখবেই, করবে আরো শক্তিশালী৷ ব্রেনকে সব সময় নতুন কিছু শিখতে হয়৷ তা না হলে মস্তিষ্ক নির্জীব হয়ে যায়৷ তাই প্রতিদিনের রুটিন ভেঙে অন্যকিছু করুন৷ মাঝে মাঝে অন্য রাস্তা দিয়ে কর্মস্থলে বা কলেজে যান৷ নতুন কোনো ভাষা বা যন্ত্র বাজানো শিখুন৷ এতে ডিমেনশিয়ার ঝুঁকি শতকরা ৭৫ ভাগ কমে যায়৷ নিউ ইয়র্কের আলবার্ট আইনস্টাইন মেডিকেল কলেজের করা এক সমীক্ষা থেকে জানা গেছে এ তথ্য৷
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Ronu

Call
আপনি নিম্নোক্ত কিছু কাজ করুন
সহজলভ্য ব্যায়াম করুন
ব্যায়াম শুধু আপনার শরীরকেই সচল করে না, এটি আপনার মস্তিষ্ককেও সচল রাখে। স্থূলতা এবং অতিরিক্ত ওজন আপনার ব্রেইনের জন্যও ক্ষতিকর। নিয়মিত ব্যায়াম না করলে কিংবা শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো সচল না থাকলে রক্তবাহী নালীগুলো চর্বি জমে। ফলে স্বাভাবিক রক্তচলাচল ব্যহত হয়। মস্তিষ্কে রক্তের মাধ্যমে অক্সিজেন সরবারাহ বাধাপ্রাপ্ত হয়। যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে মস্তিষ্কের কোষগুলোও। তাই নিয়মিত ব্যায়াম করুন, সচল রাখুন আপনার শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো
মানসিক চাপ কমিয়ে আনুন, বিষন্নতা বা দুঃখ দূর করুন
রাগ, ক্ষোভ বা উদ্বেগ আপনার ব্রেনকে কিছু সময়ের জন্য স্থবির করে দেয়, যা আপনার স্মরণশক্তি কমে যাওয়ার ক্ষেত্রে যথেষ্ট প্রভাব ফেলতে পারে। মানসিক চাপের মধ্যে বিষন্নতা সবচেয়ে মস্তিষ্কের ক্ষতি করে। বিষণ্নতা আপনার মনোযোগ দেয়ার ক্ষমতা ক্ষমিয়ে ফেলে এবং রক্তে করটিসলের লেভেল বাড়িয়ে দেয়। করটিসেলের লেভেল বেড়ে গেলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা কমে যায়, বিশেষ করে হিপ্পোক্যাম্পাসের। যেখানে শর্টটার্ম মেমোরি সংরক্ষিত থাকে। তাই বিষণ্নতা সহ সকল মানসিক চাপ যতদূর সম্ভব কমিয়ে ফেলুন।
পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করুন
একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈনিক আট ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন। একটা চমৎকার ঘুম আপনার মস্তিষ্ককে অধিক কার্যকরী করে তোলে। ঘুমের সময় সাম্প্রতিক সময়ের তথ্যগুলোকে মস্তিষ্কসংরক্ষণ করতে থাকে। আর ঘুমকে বলা হয় মেমোরি চার্জার। ঘুমের সময় আপনার মেমোরি পরবর্তী স্মৃতি ধরার জন্য প্রস্তুত হয়। তাই নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুমের মাধ্যমে স্মৃতিশক্তি বাড়াতে পারেন।
পুষ্টিকর ও সুষম খাবার খান
মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য অবশ্যই আপনাকে ভিটামিন যুক্ত পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। তাজা ফলমূল, গাঢ় সবুজ শাকসবজি, মাছ, মাংস, ডিম, দুধ, গমের রুটি প্রভৃতি প্রোটিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন। পরিমান মতো বিশুদ্ধ পানি পান করুন। প্রচুর চর্বিযুক্ত খাবার পরিহার করুন। বিশেষ করে বাসি-দূষিত খাবার খাবেন না। ওগুলো স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। আর ধূমপান ও মাদক সেবন থেকে বিরত থাকুন। এগুলো আপনার মস্তিষ্কের জন্য ভয়ানক ক্ষতিকর।
বিশেষ খেলা বা গেম
ব্রেইন গেমস খেলায় মনোযোগ দিতে হবে। নানা ধরনের ব্রেইন গেমস নিয়মিত চর্চায় রাখতে হবে। বাস্তবিত ব্রেইন গেমসেও যথাসম্ভব সব কাজে মাথা খাটাতে হবে। অর্থাৎ সম্ভাব্য সবকিছুতে অংশগ্রহণ করতে হবে। রুবিক্স কিউব, সুডোকু, পাজল ইত্যাদি মেলান। এতে মেধা ও বুদ্ধি তীক্ষ্ণ হবে। আর এগুলো একবার দুইবার নয়। প্রতিদিন মেলানোর অভ্যাস করুন। প্রতিটি বিষয় পর্যবেক্ষণ করার ক্ষমতা আয়ত্ত্বে আনুন। এটাও মেধার পরিচয়।
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ