স্বপ্নদোষ হলে গোসল না করে নামাজ আদায় করা যাবেনা। তবে আপনার অসুস্থতা যদি এমন পর্যায়ে পৌঁছে, অন্য কেউ গোসল করে দিলেও আপনার অসুস্থতা বৃদ্ধি বা ক্ষতি হয়ে যাবে, তাহলে মাটি বা মাটি জাতীয় কোন কিছু দিয়ে তায়াম্মুম করে নামাজ আদায় করতে পারবেন।আর যদি কেউ গোসল করে দিলে ক্ষতি না হয়, তাহলে গোসল করে নামাজ আদায় করতে হবে।তায়াম্মুম সম্পর্কে হাদিসে এসেছে;
জাবের (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃএকদা আমরা কোন সফরে বের হলাম। আমাদের মধ্যে এক ব্যক্তির মাথায় পাথরের আঘাত লেগে ক্ষত হয়েছিল। এরপর তার স্বপ্নদোষও হল। সে সঙ্গীদেরকে জিজ্ঞাসা করল, ‘আমার জন্য কি তায়াম্মুম বৈধ মনে কর?’ সকলে বলল, “তুমি পানি ব্যবহার করতে অক্ষম নও। অতএব তোমার জন্য আমরা তায়াম্মুম বৈধ মনে করি না।’ তা শুনে লোকটি গোসল করল এবং এর প্রতিক্রিয়ায় সে মারা গেল। অতঃপর আমরা যখন নবী (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) -এর নিকট ফিরে এলাম তখন তাকে সেই লোকটার ঘটনা খুলে বললাম। তা শুনে তিনি বললেন, “ওরা ওকে মেরে ফেলল, আল্লাহ ওদেরকে ধ্বংস করুক। যদি ওরা জানত না, তবে জেনে কেন নেয়নি? অজ্ঞতার ওষুধ তো প্রশ্নই। তার জন্য তায়াম্মুম ও (পটি বেঁধে) মাসহ যথেষ্ট ছিল।” আবু দাঊদ ৩৩৬, বাইহাকী ১০১৬, দারাকুতনী ১/১৮৯ হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
তায়াম্মুমের পদ্ধতি,
•তায়াম্মুমের জন্য প্রথমে মাটি বা মাটি জাতীয় কোন জিনিসের মাধ্যমে পবিত্রতার নিয়ত করতে হবে।
•মাটি বা মাটি জাতীয় জিনিসের উপর হাত মেরে (মাটি বেশি থাকলে একটু ঝেড়ে ফেলে) পুরা চেহারা মাসাহ করতে হবে।
• আরেকবার হাত মেরে উভয় হাতের কনুই থেকে আঙ্গুলের মাথা পর্যন্ত মাসাহ করতে হবে।
উল্লেখ্যঃ চেহারা এবং হাতের কোন অংশ যেন মাসাহ থেকে বাদ না পড়ে, অবশ্যই তা খেয়াল রাখতে হবে।
তথ্যসূত্র, বাদায়ে সানায়ে ১/৩২০ শামী ১/২৩৩ ফাতওয়ায়ে মাহমুদিয়া ৫/১৭৮ শরহুল বেকায়া ১/৯০