আসসালামু আলাইকুম।ভাই আপনি যা প্রশ্ন করেছেন তার উত্তরগুলো হলঃ ১|আপনার প্রথম প্রশ্নের উত্তর হলো না।প্রস্রাব করার পর যদি লিঙ দিয়ে সামান্য আঠালো কিছু বের হয় তবে গোসল ফরয হয় না।এটাকে শরিয়তের পরিভাষায় 'মযি' বলে।এক্ষেত্রে গোসল নয় আপনার উপর ওযু ফরয হবে। ২|হ্যা,প্রস্রাবের পর যদি আপনি টিস্যু বা পানি দিয়ে লিঙ মুছে নেন তবে পবিত্রতা অর্জন হবে।তবে এক্ষেত্রে আমার অভিজ্ঞতা বলে প্রথমে পানি দিয়ে ধুয়ে তারপর টিস্যু দিয়ে মুছে নিলে ভালো হয়। ৩|হ্যা,এটা শয়তানের ধোকা।এর দিকে ভ্রুক্ষেপ করবেন না।ধন্যবাদ
১. حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ حَدَّثَنَا جَرِيرٌ، عَنِ الأَعْمَشِ، عَنْ مُنْذِرٍ أَبِي يَعْلَى الثَّوْرِيِّ، عَنْ مُحَمَّدٍ ابْنِ الْحَنَفِيَّةِ، قَالَ قَالَ عَلِيٌّ كُنْتُ رَجُلاً مَذَّاءً، فَاسْتَحْيَيْتُ أَنْ أَسْأَلَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَأَمَرْتُ الْمِقْدَادَ بْنَ الأَسْوَدِ فَسَأَلَهُ فَقَالَ " فِيهِ الْوُضُوءُ ". وَرَوَاهُ شُعْبَةُ عَنِ الأَعْمَشِ. মুহাম্মাদ ইব্নুল হানাফিয়্যাহ (রহঃ) তিনি বলেনঃ আলী (রাঃ) বলেছেন, আমার অধিক পরিমাণে মযী বের হতো। কিন্তু আমি আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর নিকট এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করতে লজ্জাবোধ করছিলাম। তাই আমি মিকদাদ ইব্নু আসওয়াদ (রাঃ) কে অনুরোধ করলাম, তিনি যেন আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-নিকট জিজ্ঞেস করেন। তিনি তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন। তিনি বলেনঃ এতে শুধু উযূ করতে হয়। হাদীসটি শু’বাহ (রহঃ) আ’মাশ (রহঃ) থেকে বর্ণনা করেছেন। (১৩২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৭৩, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ১৭৮) সহিহ বুখারী, হাদিস নং ১৭৮ হাদিসের মান: সহিহ হাদিস Source: ihadis.com ২. حَدَّثَنَا مُوْسَى بْنُ إِسْمَاعِيْلَ حَدَّثَنَا عَمْرُوْ بْنُ يَحْيَى بْنِ سَعِيْدٍ قَالَ أَخْبَرَنِيْ جَدِّيْ عَنْ أَبِيْ هُرَيْرَةَ أَنَّهُ كَانَ يَحْمِلُ مَعَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم إِدَاوَةً لِوَضُوئِهِ وَحَاجَتِهِ فَبَيْنَمَا هُوَ يَتْبَعُهُ بِهَا فَقَالَ مَنْ هَذَا فَقَالَ أَنَا أَبُوْ هُرَيْرَةَ فَقَالَ ابْغِنِيْ أَحْجَارًا أَسْتَنْفِضْ بِهَا وَلَا تَأْتِنِيْ بِعَظْمٍ وَلَا بِرَوْثَةٍ فَأَتَيْتُهُ بِأَحْجَارٍ أَحْمِلُهَا فِيْ طَرَفِ ثَوْبِيْ حَتَّى وَضَعْتُهَا إِلَى جَنْبِهِ ثُمَّ انْصَرَفْتُ حَتَّى إِذَا فَرَغَ مَشَيْتُ فَقُلْتُ مَا بَالُ الْعَظْمِ وَالرَّوْثَةِ قَالَ هُمَا مِنْ طَعَامِ الْجِنِّ وَإِنَّهُ أَتَانِيْ وَفْدُ جِنِّ نَصِيْبِيْنَ وَنِعْمَ الْجِنُّ فَسَأَلُونِي الزَّادَ فَدَعَوْتُ اللهَ لَهُمْ أَنْ لَا يَمُرُّوْا بِعَظْمٍ وَلَا بِرَوْثَةٍ إِلَّا وَجَدُوْا عَلَيْهَا طَعَامًا আবূ হুরায়রা (রাঃ) যে, তিনি নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) - এর উযু ও ইস্তিন্জার ব্যবহারের জন্য পানি ভর্তি একটি পাত্র নিয়ে পিছনে পিছনে যাচ্ছিলেন, হঠাৎ তিনি তাকিয়ে বললেন, কে? আমি বললাম, আমি আবূ হুরায়রা। তিনি বললেন, আমাকে কয়েকটি পাথর তালাশ করে দাও। আমি তা দিয়ে ইস্তিন্জা করব। [১] তবে, হাড় এবং গোবর আনবে না। আমি আমার কাপড়ের কিনারায় কয়েকটি পাথর এনে তাঁর কাছে রেখে দিলাম এবং আমি সেখান থেকে কিছুটা দূরে গেলাম। তিনি যখন ইস্তিন্জা হতে বেরোলেন, তখন আমি এগিয়ে তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, হাড় ও গোবরের ব্যাপার কি? তিনি বললেন, এগুলো জ্বিনের খাবার। আমার কাছে নাসীবীন [২] নামের জায়গা হতে জ্বিনের একটি প্রতিনিধি দল এসেছিল। তারা ভাল জ্বিন ছিল। তারা আমার কাছে খাদ্যদ্রব্যের আবেদন জানাল। তখন আমি আল্লাহ্র নিকট দু'আ করলাম যে, যখন কোন হাড্ডি বা গোবর তারা লাভ করে তখন তারা যেন তাতে খাদ্য পায়। [৩] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৫৭৩, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ৩৫৭৮) ফাতহুল বারী ৭ম খন্ড ২১৯ পৃষ্ঠা: টিস্যু দিয়ে বা পানি দিয়ে পবিত্রতা অর্জন করা যায়। দুটির একত্রে ব্যবহার অতি উত্তম। ৩. জি, এটা ধোঁকা, এর থেকে আপনাকে বেঁচে থাকতে হবে। সন্দেহ করে সালাত ত্যাগ করা যাবে না।
প্রসাব করার পর যদি সামান্য আঠালো পদার্থ পানির মত বের হয় তবে গোসল ফরয হবে না। তবে দেখতে হবে তা অজি না মজি। যদি অজি বের হয় তাহলে গোসল ফরয হবে। আলী (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, আমি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বীর্যরস প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলাম। তিনি বলেনঃ বীর্যরস বের হলে অজু করতে হবে এবং বীর্যপাত হলে গোসল করতে হবে। (তিরমিজীঃ ১১৪) প্রসাব করার পর পরিপূর্ণ পবিত্রতা অর্জনের জন্য শুধু টিস্যু বা পানি ব্যবহার করা যাবে এতেও পরিপূর্ণ পবিত্রতা অর্জন হবে। তবে কুলুখ নেওয়ার পর পানি নেওয়া উত্তম। আল্লাহ 'উত্তমরুপে' পবিত্র অর্জনকারীকে ভালবাসেন। (তওবাঃ ১০৮) প্রায়ই প্রসাব করার পর পবিত্রতা অর্জনের পরও কেমন জানি সন্দেহ হয় এবং মনে হয় যে প্রসাবের ফোটা এই বুঝি প্যান্টে পড়ল। এভাবে অনেকবার নামাজ না পড়েই থেকেছেন এটা ছিল শয়তানের ধোঁকা।