জনাব! যে বাবা মা কতো মায়া মমতার সাথে মানুষ করে, সেই বাবা মায়ের মাথায় লাথি মেরে তাদের অনুমতি না নিয়েই অনেকেই বিয়ে করে। কিন্তু সে বিয়েতে মেয়ের বাপ রাজী না থাকলে বিয়ে শুদ্ধ হবে না। যেহেতু নবী (সাঃ) বলেছেন, যে নারী তার অভিভাবকের সম্মতি ছাড়াই নিজে নিজে বিবাহ করে, তার বিবাহ বাতিল, বাতিল, বাতিল। (আহমাদ, আবূ দাঊদ, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ) এমন বিয়ে যেহেতু তাদের শুদ্ধ নয় তাই তাদের দাম্পত্য চির ব্যভিচার হয়। তবে সাইয়েবা মহিলা নিজের বিয়ের ব্যাপারে অধিক হকদার।
ইসলামে যেনা ব্যভিচার হারাম করে বিয়ের বৈধতা দেয়া হয়েছে। সুতরাং যদি আপনি ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার প্রবল আশংকা করেন সেক্ষেত্রে আপনার জন্য বিবাহ করাই উত্তম হবে।তাই বিয়ের বিষয়টি আপনি আপনার পিতা মাতাকে কারো মাধ্যমে বুঝানোর ব্যবস্থা করুন।যদি কাজ না হয় তাহলে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করুন। এতেও যদি কাজ না হয় তাহলে ব্যভিচার থেকে বাঁচার জন্য বিয়ে করুন। বিয়ে অনুমতি ছাড়া হবে।
দুইজন প্রাপ্তবয়স্ক অভিবাবকের সম্মতি ছাড়া যদিও বিয়ে করতে পারে, তবে বিবাহের ক্ষেত্রে অভিবাবক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পারিবারিক শান্তি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এটা বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। এজন্যই ইসলাম বিবাহের ক্ষেত্রে পাত্র-পাত্রীর মতামত ‘চূড়ান্ত’ হিসাবে সাব্যস্ত করলেও পাশাপাশি অভিভাবকের মতামতকেও সবিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। কেননা, যেমনিভাবে রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, বিধবার বিয়ে তার পরামর্শ ছাড়া এবং কুমারী মেয়ের বিয়ে তার অনুমতি ছাড়া করানো যাবে না। (বুখারী ৫১৩৬) অনুরূপভাবে তিনি অভিভাবকের উদ্দেশ্যে বলেছেন, তোমরা যে ছেলের দ্বীনাদারি ও চরিত্রের ব্যাপারে সন্তুষ্ট হতে পার সে যদি প্রস্তাব দেয় তাহলে তার কাছে বিয়ে দাও। যদি তা না কর তাহলে পৃথিবীতে মহা ফেতনা-ফাসাদ সৃষ্টি হবে। (তিরমিযী ১০৮৪)