পিইসি পরীক্ষায় এবার ৮০ শতাংশ যোগ্যতাভিত্তিক করা হলো কেন ?
শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Asmanislam

Call

প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমি (নেপ) প্রণীত ২০১৩ সালের প্রশ্নকাঠামো অনুসারে প্রতিটি বিষয়ে ২৫ নম্বরের যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন থাকবে। এই যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন ও এর উত্তর লেখা নিয়ে অনেকেরই রয়েছে দ্বিধাদ্বন্দ্ব। আসলে এটা নিয়ে এতটা দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। প্রাথমিক স্তরে বিভিন্ন শ্রেণীতে বিভিন্ন পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে পঞ্চম শ্রেণীতে এসেছে। আগের এই পরীক্ষাগুলো বেশির ভাগই ছিল মুখস্থনির্ভর। এই মুখস্থবিদ্যায় তাদের নিরুত্সাহিত করে কিছু স্বীকৃত নিয়ম-পদ্ধতি অনুসরণের মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষাকে আরও মানসম্মত করাই যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্নকাঠামোর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতি বর্তমানে ৬ষ্ঠ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা পর্যন্ত চালু হয়েছে। আর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে সংযোজন হলো ২৫ নম্বরের যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন। সৃজনশীল প্রশ্ন পদ্ধতিতে রয়েছে ৪টি স্তর— জ্ঞান, অনুধাবন, প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতা। আর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনীতে যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্নে থাকবে ৩টি স্তর—জ্ঞান, অনুধাবন ও প্রয়োগ। শিক্ষার্থীরা শুধু মুখস্থনির্ভর হয়ে বেড়ে উঠবে, এটা নিশ্চয় কাম্য নয়। মুখস্থবিদ্যার পাশাপাশি পাঠ্যপুস্তকে প্রদত্ত তত্ত্ব ও তথ্য বুঝে তার যুক্তিসংগত ব্যাখ্যা দেওয়ার দক্ষতা এবং প্রাথমিক স্তরে তার অর্জিত জ্ঞান বাস্তব জীবনে যথার্থভাবে কতটুকু কাজে লাগাতে পারছে, তারই মূল্যায়ন এই যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন। এটুকু বলব, শিক্ষার্থীর সামর্থ্যের বাইরে অতিরিক্ত কোনো কিছুর উত্তর দেওয়ার মতো প্রশ্নপত্র প্রণীত হবে না। শুধু শিক্ষার্থীদের ধারণক্ষমতা ও মানসিক পরিপক্বতা কোন স্তরে রয়েছে, তারই মূল্যায়ন করা হবে এই যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্নমালার মাধ্যমে। শিক্ষার্থীর অনুধাবন ক্ষমতা, প্রয়োগ দক্ষতা, সৃষ্টিশীল মানসিক শক্তির বিকাশ মূল্যায়ন বা পরিমাপের জন্য যে আঙ্গিকে প্রশ্ন প্রণয়ন করা হয়ে থাকে তাকেই বলা হয়ে থাকে যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন। প্রাথমিক স্তরের এই যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্নপত্র প্রণয়নের ক্ষেত্রে সাধারণভাবে তিনটি বিশেষ বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়— ১. জ্ঞান ২. অনুধাবন ৩. প্রয়োগ। জ্ঞান: এই স্তরের প্রশ্নের মাধ্যমে পঠিত তথ্য মনে রাখার দক্ষতা যাচাই করা হয়। অনুধাবন: কোনো বিষয় বা বক্তব্য শিক্ষার্থী যথার্থভাবে বুঝতে পেরেছে কি না তা যাচাই করার স্তর হলো অনুধাবনমূলক প্রশ্ন। প্রয়োগ: এই স্তরের প্রশ্নের ধরন হয় প্রয়োগ দক্ষতা নিরূপণের জন্য। অর্থাত্ শিক্ষার্থী কোনো নতুন পরিস্থিতির কোনো বিষয় পাঠ্যবইয়ে উল্লিখিত বিষয়সমূহের আলোকে কতটা সৃষ্টিশীলতা, স্বকীয়তা ও সৃজনশীলতা প্রদর্শন করে উত্তর লেখার সক্ষমতা কতটা অর্জন করতে পেরেছে, তা যাচাই করা হয় এই স্তরের প্রশ্নের মাধ্যমে। বাংলা বিষয়ের যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন: প্রশ্নকাঠামো অনুসারে বাংলা বিষয়ে ২৫ নম্বরের যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্নের আওতায় রয়েছে পাঠ্যবইবহির্ভূত অনুচ্ছেদ/কবিতাংশ। প্রদত্ত এই অনুচ্ছেদ বা কবিতাংশ থেকে প্রশ্ন থাকবে চারটি। এই চারটি প্রশ্নই হবে যোগ্যতাভিত্তিক। প্রদত্ত অনুচ্ছেদের আলোকে ১ নম্বর প্রশ্নটি হবে বহুনির্বাচনী। ২ নম্বর প্রশ্নে থাকবে শূন্যস্থান পূরণ, ৩ নম্বর প্রশ্নে যোগ্যতা যাচাই হবে যুক্তবর্ণের বিভাজন/শব্দ গঠন/বাক্যে প্রয়োগের দক্ষতা। ৪ নম্বর প্রশ্নে সৃজনীশক্তির বিকাশ মূল্যায়নের জন্য থাকবে দুটি বর্ণনামূলক প্রশ্ন। শিক্ষক (প্রা.), আইডিয়াল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঢাকা

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ