নামাজের সময় যতক্ষণ থাকে ততক্ষণ আযানের সময়ও থাকে। সুতরাং নামাজের সময় শেষ হয়ে গেলে আযানের সময়ও শেষ হয়ে যায়। তবে উত্তম তো হলে ওয়াক্ত শুরু হয়ে গেলেই আযান দিয়ে দেয়া। নামাজের সময় শেষ হওয়ার পর নামাজ পড়া হলে তা কাযা হয়ে যায়। কাযা নামাজের জন্যও আযান দেয়া যেতে পারে যদি অনেকের নামাজ কাযা হয়ে থাকে। তবে সে আযান ওয়াক্তিয়া নামাজের আযানের মত দিবে না। যাতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি না হয়।
আজান বা নামাজের সময় চলে গেলে তা কাযা হিসাবে গন্য হবে। একের অধিক লোকের নামাজের সময় চলে গেলে আজান দিতে পারবেন। ইমরান (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ তিনি বলেনঃ আমরা রাসুল (সসাঃ) এর সঙ্গে এক সফরে ছিলাম। আমরা রাতে চলতে চলতে শেষ রাতে এক স্থানে ঘুমিয়ে পড়লাম। মুসাফিরের জন্য এর চেয়ে মধুর ঘুম আর হতে পারে না। আমরা এমন ঘোর নিদ্রায় নিমগ্ন ছিলাম যে, সূর্যের উত্তাপ ছাড়া অন্য কিছু আমাদের জাগাতে পারেনি। সর্বপ্রথম জাগলেন অমুক, তারপর অমুক, তারপর অমুক। রাবী আবূ রাজা (রহঃ) তাঁদের সবার নাম নিয়েছিলেন কিন্তু আওফ (রহঃ) তাঁদের নাম মনে রাখতে পারেন নি। চতুর্থ বারের জেগে ওঠা ব্যক্তি ছিলেন উমর ইব্নুল খাত্তাব (রাঃ)। রাসুল (সাঃ) ঘুমালে আমরা তাকে কেউ জাগাতাম না, যতক্ষণ না তিনি নিজেই জেগে উঠতেন। কারণ নিদ্রাবস্থায় তাঁর উপর কী অবতীর্ণ হচ্ছে তা তো আমাদের জানা নেই। উমর (রাঃ) জেগে মানুষের অবস্থা দেখলেন, আর তিনি ছিলেন দৃঢ়চিত্ত ব্যক্তি – উচ্চৈঃস্বরে তাকবীর বলতে আরম্ভ করলেন। তিনি ক্রমাগত উচ্চৈঃস্বরে তাকবীর বলতে থাকলেন। এমন কি তাঁর শব্দে নবী রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জেগে উঠলেন। তখন লোকেরা তাঁর নিকট ওজর পেশ করলো। তিনি বললেনঃ কোন ক্ষতি নেই বা বললেনঃ কোন ক্ষতি হবে না। এখান হতে চল। তিনি চলতে লাগলেন। কিছু দূর গিয়ে থামলেন। উযূর পানি আনালেন এবং উযূ করলেন। সালাতের আজান দেয়া হলো। তিনি লোকদের নিয়ে সালাত আদায় করলেন। [সহীহ বুখারী, হাদিস নম্বরঃ ৩৪৪]