বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম।কোনো কাজ শুরুর আগে বিসমিল্লাহ্ বলে শুরু করতে হয়।১মেই সালাম জানাচ্ছি আসসালামু আলাইকুম।আপনি ৫ ওয়াক্ত নামায ঠিক মতো পরেন।কোনো ক্রমে নামায বাদ বা কাযা হতে দিবেন না। আর যদি হয়েও যায় তাহলে পরে নিবেন।সবার সাথে সব সময় ভালো ব্যবহার করার চেষ্ট্রা করবেন।ছোটদের স্নেহ এবং বড়দের সম্মান করবেন।সুদ,ঘুষ কোনে প্রকার হারাম কাজ থেকে বিরত থাকবেন।কোনো একটা কাজ করার আগে বেশী বেশী কবের কথা মনে করবেন।সব সময় টুপি পরে থাকবেন।এই টুপি আপনাকে অনেক খারাপ কাজ করার আগে আল্লাহর কথা স্মরণ করিয়ে দিবে।তখন আপনি বিরত থাকবেন।আর অনেক সম্মান ও নবীর সুন্নত ও পালন করা হবে।পারতে পক্ষে অন্যের উপকার করবেন।কোনো একটা কাজ করার আগে ভেবে দেখবেন এতে অপরের ক্ষতি হবে কি না।এসব যদি মেনে চলতে পারেন তাহলে ইনশা আল্লাহ্ আপনি প্রকৃত মুমিন হতে পারবেন।সম্পূর্ণ ভাবে ইসলামে প্রবেশ করতে পারবেন।
সে ক্ষেত্রে আপনাকে খুবই ধৈর্যশীল হতে হবে.. নিয়মিত সহীহ ভাবে পাচ ওয়াক্ত নামাজ পড়লে সহজেই খারাপ কাজ থেকে দুরে থাকতে পারবেন.. নামাজ পড়ার সময় সকল নিয়ম কানুন এর দিকে খেয়াল রাখবেন. আর নিষিদ্ধ বা খারাপ কাজ করার পুর্বে জাহান্নামের আজাবের কথা একবার মাথায় আনবেন.. মনে করবেন হয়ত আপনাকে এই কাজের জন্য জাহান্নামে যেতে হতে পারে.. ধন্যবাদ
কোরআনে আল্লাহতায়ালা বলেন,"নিশ্চয়ই নামাজ যাবতীয় অন্যায় ও খারাপ কাজ থেকে ফিরিয়ে রাখে" (আয়াতের অর্থ)। আপনি বলছেন ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার চেষ্টা করেন কিন্তু কোরআনের এ বানী অনুযায়ী খারাপ কাজ থেকে ফিরতে পারেন না। আর কোরানের কথার মধ্যে কোনো সন্দেহ নাই।সুতরাং,এ কথা স্পষ্ট আপনার নামাজে কোনো ত্রুটি রয়েছে।সুতরাং,আপনি একাগ্রতা এবং গুরুত্বের সাথে নামাজ আদায় করুন।তাহলে অন্যায় থেকে ফেরা সম্ভব। আশা করি বুঝতে পারছেন।...
ইসলামে প্রবেশ করতে ইমান আনতে হবে। ইমান অর্থ বিশ্বাস। ইসলামের মূল বিষয়গুলোর প্রতি আন্তরিক বিশ্বাস, মৌখিক স্বীকৃতি এবং সে অনুযায়ী আমল করতে হবে। ইমানের মৌলিক ৭ টি বিষয়(আল্লাহ তায়ালা, ফেরেশতাগণ, আসমানি কিতাব, নবি রাসুলগণ, আখিরাত, তকদির ও মৃত্যুর পর পুনরুত্থান) বিশ্বাস করতে হবে। আর এসব বিশ্বাস, মুখে স্বীকৃতি এবং সে অনুযায়ী আমল করলে খারাপ কাজ গুলো দেখবেন পরিহার হচ্ছে।
শয়তান আল্লাহকে ওয়াদা করেছিল মানুষকে জাহান্নামে নেয়ার জন্য কুমন্ত্রণা দিবে । কিন্তু পরম দয়ালু আল্লাহ তাঁর বান্দাদের ওই শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে রক্ষার জন্য কিছু দোয়া শিখিয়ে দিয়েছেন। আজকাল অনেকেই পাপ কাজ করে হাঁসি মুখেই বলতে শুনা যায় “আজ আমাকে শয়তানে পাইছে”। পরবর্তীতে দেখা যায় সেই একই কাজ আবার করে।আসলে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে অনুশোচনা না হওয়ার কারনেই এমন হয়। আল্লাহ ক্ষমাশীল তাই বলে একই অপরাধ বার বার করলে তিনি ক্ষমা করবেন? ইচ্ছা করে আল্লাহর আদেশ অমান্য করে ক্ষমা চেয়ে আবার সেই একই অপরাধ করে ক্ষমা চাওয়া তাঁর সাথে মশকরা ছাড়া আর কি? যাই হোক শয়তানের কুমন্ত্রণার কারনেই অনেক অপরাধ সংঘটিত হয়। তাই এই শয়তান থেকে বাঁচার জন্য ১০টি উপায় দেয়া হল। শয়তান থেকে আত্মরক্ষার দশটি উপায়ঃ ১) আল্লাহর কাছে শয়তানের অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাওয়া; ২) সুরা ফালাক ও সুরা নাস তেলাওয়াত করা; ৩) আয়াতুল কুরসি তেলাওয়াত করা; ৪) সুরা বাকারা তেলাওয়াত করা; ৫) সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত তেলাওয়াত করা; ৬) সুরা গাফির এর প্রথম তিন আয়াত তেলাওয়াত করা; ৭) “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, ওয়াহদাহু, লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া ‘আলা কুল্লি শাইইন কাদীর” একশত বার পড়া যার অর্থ – আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের যোগ্য কোন মাবুদ নেই, তিনি এক তাঁর কোন শরীক নেই, রাজত্ব তারই, প্রশংসা মাত্রই তাঁর, তিনি সকল কিছুর উপর ক্ষমতাবান। ৮) প্রতিটি ক্ষেত্রে আল্লাহকে স্মরণ করা ৯) ভাল ভাবে ওজু করা এবং সালাত আদায় করা; ১০) অনর্থক এদিক সেদিক খেয়াল করা, অসার কথা বলা, অতিরিক্ত খাওয়া ও অহেতুক লোকজনের সাথে মেলামেশা থেকে নিজেকে বিরত রাখা।
পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেন, হে ইমানদারগণ! তোমরা পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ কর। শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ কর না। নিশ্চিতরূপে সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু। (সূরা বাকারা আয়াত ২০৮) কিভাবে পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ করতে হবে তার সংক্ষিপ্ত আলোচনাঃ- ১.. পাঁচটি কালেমার উপর ঈমান এবং বিশ্বাষ আনতে হবে। ২.. নামাজ কায়েম করতে হবে। ৩.. যাকাত প্রদান করতে হবে। ৪.. রোজা রাখতে হবে। ৫.. সামর্থ থাকলে হজ্জ করতে হবে। এছাড়া রাসুল (সাঃ) এর সুন্নত মেনে হারাম পরিত্যাগ করে হালাল এর উপড় প্রতিষ্ঠিত থাকলেই পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ করা সম্ভব।