পাঁচ বা তার কম ওয়াক্ত কাযা হলে ধারাবাহিক ভাবে পড়তে হবে।
যদি বেশি হয়ে থাকে তবে ধারাবাহিকতা জরুরী নয়। যেমন 20 ওয়াক্ত নামায কাযা হলে আপনি চাইলে প্রথম দিনের ফজর, জোহর, আসর, মাগরিব, এশা এর পর দ্বিতীয় দিনের নামায এভাবে বিশদিনের ধারাবাহিকভাবেও আদায় করতে পারবেন অথবা বিশ দিনের ফজর শেষ করে জোহর এভাবে আসর পড়তে পারেন।
কিন্তু যদি পাঁচ বা তার কম নামায কাযা হয় তবে অবশ্যই ধারাবাহিকত রক্ষা করবেন। যেমন আগে ফজর, জোহর তারপর আসর এভাবে মাগরিব ও এশা।
কাযা নামায এর অধ্যায় বিশাল। আরো জানতে দেখুন এখানে- কাযা নামাযের পদ্ধতি
কাযা সালাত আদায় এবং কাযার ব্যাপারে তাড়াতাড়ি করা মুস্তাহাব। রাসুল (সাঃ) বলেছেন, তোমাদের কেউ যদি সালাত ভুলে যায়, তবে স্মরণমাত্র যেন আদায় করে নেয়। [সহীহ মুসলিম, হাদিস নম্বরঃ ১৪৩৩] কারো যদি একাধিক সালাত কাযা হয়ে যায় তবে কোন সালাত থেকে তা আরম্ভ করবে? হান্নাদ (রহঃ) আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে, মুশরিকরা খন্দক যুদ্ধের সময় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে চার ওয়াক্ত সালাত আদায়ে বিঘ্ন সৃষ্টি করে। এমনকি রাতের কিছু অংশ অতিবাহিত হয়ে যায় কিন্তু তিনি সালাত আদায় করতে পারলেন না। পরে তিনি বিলাল রাদিয়াল্লাহু আনহু কে আযান দিতে বললেন। বিলাল রাদিয়াল্লাহু আনহ আযান দিয়ে ইকামত দিলেন। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যুহরের সালাত আদায় করলেন, পরে আবার তিনি ইকামত দিলেন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আসরের সালাত আদায় করলেন, পরে তিনি আবার ইকামত দিলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মাগরিবের সালাত আদায় করলেন এরপর তিনি পুনরায় ইকামত দিলেন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইশার সালাত আদায় করলেন। [সূনান তিরমিজী, হাদিস নম্বরঃ ১৭৯] এই বিষয়ে আবূ সাঈদ এবং জাবির রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকেও হাদিস বর্ণিত আছে। ইমাম আবূ ঈসা তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণিত হাদিসটির সনদে অসুবিধা নাই। তবে রাবী আবূ উবায়দা সরাসরি ইবনু মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে কিছু শুনেননি। কাযা সালাতের বিষয়ে আলিমগণ এই মতটই গ্রহণ করেছেন যে, কাযার সময় প্রতেক সালাতের জন্য ইকামত দেওয়া যায়। ইকামত না দিলেও তা হয়ে যাবে। ইমাম শাফিঈ (রহঃ) এর অভিমত এই।