আমাদের দৈনিকগুলোতে রাশিফল নিয়ে প্রতিদিনই সবিশেষ আয়োজন থাকে। দিনটি কেমন যাবে ? কি কি হবে ? শুভ অশুভসহ নানা বিষয়ের বিবরণ থাকে।
বস্তুত বিশ্বাসগত ত্রুটির কারণেই মুসলিমদের মাঝে নানা ধরনের শিরক ও বিদআত ছড়িয়ে পড়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হলো রাশিচক্রে বিশ্বাস। ‘পার্থিব বিষয়াদি রাশিচক্র দ্বারা প্রভাবান্বিত এবং এদের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করে ভবিষ্যত ঘটনাবলী আগাম বলা সম্ভব।’- এই বিশ্বাসই জ্যোতিষশাস্ত্র নামে পরিচিত। খ্রীষ্টপূর্ব তিন হাজার বছর আগে মেসোপটেমিয়ায় এ জ্যোতিশাস্ত্রের সূচনা হয় এবং গ্রিক সভ্যতায় এসে তা পূর্ণতা লাভ করে। ইসলামে জ্যোতিষশাস্ত্র চর্চা ও বিশ্বাস সম্পূর্ণরূপে হারাম নিষিদ্ধ। জ্যোতিষীর কাছে যাওয়া, তার ভবিষ্যদ্বাণী শোনা, জ্যোতিষশাস্ত্রের বই কেনা, রাশিফল পড়া সবকিছুই নিষেধ।
হজরত হাফসা (রা.) কর্তৃক বর্নিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “যে গণকের কাছে যায় এবং কোন বিষয়ে জিজ্ঞাসা করে তার চল্লিশ দিন ও রাত্রির নামাজ গ্রহণযোগ্য হবে না।” [সহিহ মুসলিম, হাদিস নং- ৫৫৪০]:
মহান আল্লাহ বলেন,
১। হে ঈমানদারগণ ! এ মদ, জুয়া, মূর্তি পূজার বেদী ও ভাগ্য নির্ণায়ক শরসমূহ এ সমস্তই হচ্ছে ঘৃণ্য শয়তানী কার্যকালাপ ৷ এগুলো থেকে দূরে থাকো, আশা করা যায় তোমরা সফলতা লাভ করবে৷ সুরা মায়েদা-৯০
২। অদৃশ্যের কুঞ্জি তাঁহারই নিকট রহিয়াছে, তিনি ব্যতীত কেহ জানে না। সূরা আন-আনআম ৫৯
৩। আল্লাহ ব্যতীত আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীতে কেউই অদৃশ্য বিষয়ের জ্ঞান রাখে না। সুরা আন-নামল ৬৫
সারকথা, রাশিচক্র সত্য নয়। এতে বিশ্বাস করা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ।