শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

Call

শুধুমাএ শিল্পকলা একাডেমি থেকে পরলে চলবে কিন্তু মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে!

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ

আপনি কি কথা বলতে পারেন? আপনি কি কিছু লিখতে ও পড়তে জানেন? আপনার উত্তর যদি হয় হ্যা তাহলে আর কোন সমস্যা নেই! আপনি আমাদের আধুনিক ফর্মুলা / পদ্ধতি অনুসরন করে রাতারাতি জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পী হতে পারেন। তার উপর যদি আপনার সচ্ছলতা থাকে তাহলে তো আর কথাই নেই! আমাদের ফর্মুলা অনুসরণ করে মাত্র ১ মাসেই হয়ে যেতে পারেন বাংলাদেশের একজন তরুণ প্রতিভাবান জনপ্রিয় সঙ্গীত তারকা। এখন আসুন ফর্মুলা টা জেনে নেই-  ১. কিভাবে গীতিকার যোগাড় করবেন- আপনার যদি পরিচিত কোন গীতিকার( যাদের নাম কেউ শুনেনি) এর সাথে পরিচয় থাকে তার কাছ থেকে ১০/১২ টি গান (ছড়া, কবিতা) নিন। তারে বলবেন আপনার এই গানগুলোকে দিয়ে আপনি একটা অ্যালবাম তৈরি করবেন। ব্যস, তাতেই তিনি খুশী। গানের জন্য তারে কোন টাকা আপনার দেয়া লাগবে না। গীতিকার যদি পরিচিত জনের মধ্যে না পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে আপনি নিজে ১৫ /২০ বছর আগের ৩ /৪ টা বাংলা গান থেকে গানের কথা থেকে তিনটি অংশ কপি করে একটা চমৎকার গান তৈরি করতে পারেন। যেহেতু গানের তিনটি অংশ তিন গান থেকে নিয়ে আশা হয়েছে সেক্ষেত্রে কারো ধরার সাধ্য নেই এবং কেউ দাবীও করতে পারবে না যে আপনি কোন গান হুবুহু নকল করেছেন। এভাবে আপনি নিজেই গীতিকার হিসেবে নিজের নাম অনায়াসে ব্যবহার করতে পারেন। এতেও যদি আপনার কষ্ট হয় তাহলে প্রাথমিক শিক্ষার বই থেকে বিভিন্ন কবির জনপ্রিয় কবিতা গুলোকে গান বানিয়ে ফেলতে পারেন (উদাহরণ- “বাবুরাম সাপুড়ে , কোথা যাস বাপুরে”) ।  সাবধানতাঃ যে সব ছড়া ,কবিতা দিয়ে আগে গান হয়ে গেছে সেগুলো নির্বাচন করবেন না। এতে আপনি ঐ শিল্পীর মামলায় ফেঁসে যেতে পারেন।  ২.গানের সুর কিভাবে দিবেন- এবার জেনে নিন গানের সুর কিভাবে দিবেন তার উপায়গুলো। আপনি বাসায় তামিল, গুজরাটি, রাশিয়ান, আরবি,স্প্যানিশ সহ বিভিন্ন ভাষার গানগুলো শুনতে থাকবেন । যে গানগুলোতে বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার বেশি এবং একটু “ঝাকানাকা ঝাকানাকা “ ভাব আছে তেমন গানগুলো নির্বাচন করুন । সেই গানগুলোর সুর হুবুহু কপি করে ফেলতে পারেন। ব্যস, খুব সহজে বিনাপয়সায় গানের সুর দেয়া হয়ে গেলো আপনিও সুরকার হিসেবে নাম লিখিয়ে ফেললেন। আবার যদি সব কপি করতে না চান ,তাহলে মৌলিক সুর দিতে গেলে আপনি গানএর শুরুটা একটু ধির লয়ে শুরু করবেন, মাঝখানে উঁচু লয়ে উঠার জন্য গানের লাইটা একটু চিৎকার করে বলবেন, আবার একটু মাঝখানে ঝাকানাকা তালে গাইবেন ,আবার শেষের দিকে উঁচু লয়( চিৎকার করে) দিয়ে শুরু করে আস্তে আস্তে একেবারে ধির লয়ে শেষ করবেন। ব্যস, একটা “জটিল” গান আপনি তৈরি করে ফেললেন।  সাবধানতাঃ- কোন বিখ্যাত হিন্দি, ইংরেজি গান এর সুর কপি করবেন না। এতে ধরা খাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। পারত পক্ষে হিন্দি ও ইংরেজি গান থেকে সুর চুরি না করাই ভালো। এরচেয়ে পুরনো বাংলা গান এর সুর চুরি করলে সমস্যা নাই। কারন সেইসব গান এখন খুব বেশি কেউ শুনে না। কিন্তু হিন্দি ও ইংরেজি গান বেশি শোনে।  ৩.গান রেকর্ড করবেন কোথায়- উপরের ২টি কাজ ঠিকমতো হয়ে গেলে এখন আপনার প্রয়োজন হবে গানগুলো রেকর্ড করার। তার জন্য আপনাকে বেশি কষ্ট করা লাগবে না। যে কোন অখ্যাত অডিও স্টুডিও এর সাথে যোগাযোগ করে আপনি গান রেকর্ড এর জন্য স্টুডিও ভাড়া নিতে পারেন। তবে আপনার যদি টাকা নিয়ে সমস্যা না হয় তাহলে যে কোন ঢাকার বিখ্যাত অডিও স্টুডিও এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। তারাই আপনার সব ব্যবস্থা করে দিবেন। সাউনড ইঞ্জিনিয়ার থেকে শুরু করে বাদ্যযন্ত্র সব ব্যবস্থা করে দিবে।  ৪. গান প্রচার- আপনি অ্যালবাম বাজারে ছাড়ার মাস খানেক আগে যে কোন এফ.এম রেডিও এর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। তাদের সাথে আপনি টাকার বিনিময়ে একটি চুক্তি করতে পারেন যেখানে আপনাকে আপনার গান প্রতিদিন প্রচার করার জন্য একটা ফিস দিতে হবে। আপনি যদি মনে করেন আপনার অ্যালবাম এর গানগুলো প্রতিদিন ১ ঘণ্টা পরপর বাজানো হোক তাহলে একটু বেশি টাকা দিতে হবে। ব্যস, আপনার গান প্রতিদিন শ্রোতাদের শুনাতে শুনাতে জোর করে ‘সুপারহিট ‘ বানিয়ে ছাড়বেই। এতে কোন সন্দেহ নেই। অ্যালবাম বের হওয়ার আগেই আপনি সেইরকম! জটিল! চরম হিট শিল্পী হয়ে যাবেন।  ৫. অ্যালবাম প্রকাশ- সব শেষে আপনি অ্যালবাম প্রকাশ করার কথা ভাবছেন? কোন চিন্তা নাই! ঐ যে আপনি আগে ১ মাস এফ.এম রেডিও কে পয়সা দিয়েছিলেন আপনার গান প্রচার এর জন্য, সেটাই আপনাকে অ্যালবাম প্রকাশ করতে বড় ভুমিকা পালন করবে। আপনার গান যদি এফ.এম রেডিও তে হিট হয়ে যায় তাহলে আপনার কাছে এমনিতেই বড় বড় অডিও কোম্পানি আসবে। এবার আপনি আগে যা ব্যয় করেছিলেন তা তুলে আনতে পারবেন সেই অডিও কোম্পানির সাথে র্যা য়েলিটি নিয়ে ‘মুলামুলি’ করতে পারেন। যে আপনাকে বেশি টাকা দিবে তাকেই আপনি আপনার অ্যালবাম প্রকাশ করার জন্য অনুমতি দিবেন।  যদি আপনার ভাগ্য খারাপ হয় অর্থাৎ এফ.এম রেডিও গান প্রচার করার পরেও কোন কোম্পানি যোগাযোগ করে না সেক্ষেত্রে আপনি নিজেই তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন এবং তাদের কে আপনার অ্যালবাম প্রকাশের জন্য কিছু অর্থ প্রদান করতে পারেন। এটাকে মনে করবেন তারকা হওয়ার একটা সাধনা মাত্র। আরও একটা ব্যাপার জানা থাকলে খুব ভালো সেটা হলো কম্পিউটার এর মাধ্যমে ডিজিটাল ট্র্যাক তৈরি করা। এতে আপনার বাদ্যযন্ত্র ও বাদ্ক এর কোন প্রয়োজন হবে না। দেখা যাবে আপনি নিজেই একটা নতুন বাদ্যযন্ত্রের আবিষ্কারক হয়ে গেছেন।  আরেকটা কথা – আপনি যদি খুব সুন্দরী স্মার্ট তরুণী হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য উপরের কোন পদ্ধতি অনুসরন করতে হবে না। আপনি শুধু কষ্ট করে যে কোন একজন পেশাদার সঙ্গীত পরিচালক (যার চরিত্র ফুলের মত পবিত্র নয়) এর সাথে দেখা করে আপনার ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বার দিয়ে আসবেন এবং প্রতিদিন উনার কথা মত চলবেন। ব্যস, তারপর থেকে দেখবেন কখন যে আপনার জন্য ৫০ টা গান (যা দিয়ে ৫ মাসে ৫টা অ্যালবাম বের করা যাবে) এর ট্র্যাক তৈরি হয়ে গেছে তা আপনি টেরই পাবেন না। আপনি শুধু এবার কম্পিউটার এর সামনে বসেই গানে কণ্ঠ দিলে হবে। আর যদি ভাগ্যক্রমে কোন প্রতিষ্ঠিত “টিভি চ্যানেল” এর চেয়ারম্যান এর চোখে পড়ে যান তাহলে তো মারহাবা! কোন কথাই নেই। আপনার অ্যালবাম বের হওয়ার আগেই সেই অ্যালবাম এর একটি গানের মিউজিক ভিডিও তৈরি করার জন্য বিনা পয়সায় পুরো বিশ্ব ভ্রমন করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিতে পারবেন।  বন্ধুরা উপরের পদ্ধতি অনুযায়ী কি দাঁড়ালো? উত্তর খুবই সহজ, আপনি শুধু একজন সঙ্গীত শিল্পীই হলেন না, একাধারে আপনি একজন তরুণ গীতিকার ও সুরকারও হয়ে গেলেন। ব্যস, আপনি সুপারহিট হয়ে যাবেন ১০০% নিশ্চয়তা দিলাম।  বন্ধুরা, তাহলে বুঝলেন তো কিভাবে জনপ্রিয় সঙ্গীত তারকা হবেন? আপনার মনে যদি সত্যিই ইচ্ছা থাকে তাহলে আপনি গান না জানলেও কোন সমস্যা নেই। আপনি উপরের পদ্ধতি অনুসরণ করে একজন জনপ্রিয় সঙ্গীত তারকা হয়ে নিজের মনের ইচ্ছা সহজেই পুরন করতে পারেন। মনে রাখবেন “ ইচ্ছা থাকিলেই উপায় হয়”! এবং “শখের তোলা লাখ টাকা”!  (উপরের ৫টি পদ্ধতিগুলো শুধু মাত্র সকল তরুণ ও কালো তরুনীর জন্য প্রযোজ্য। কোন সুন্দরী তরুণীর জন্য নয়) 

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ