যুলকারনাইনের কথা বলা হচ্ছে তিনি কে ছিলেন, এ বিষয়ে প্রাচীন যুগ থেকে নিয়ে আজও পর্যন্ত মতবিরোধ চলে আসছে। প্রাচীন যুগের মুফাস্সিরগণ সাধারণত যুলকারনাইন বলতে আলেকজাণ্ডারকেই বুঝিয়েছেন। কিন্তু কুরআনে তাঁর যে গুণাবলী ও বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করা হয়েছে, আলেকজাণ্ডারের সাথে তার মিল খুবই কম। আধুনিক যুগে ঐতিহাসিক তথ্যাবলীর ভিত্তিতে মুফাসসিরগণের অধিকাংশ এ মত পোষণ করেন যে, তিনি ছিলেন ইরানের শাসনকর্তা খুরস তথা খসরু বা সাইরাস। এ মত তুলনামূলকভাবে বেশী যুক্তিগ্রাহ্য। তবুও এখনো পর্যন্ত সঠিক ও নিশ্চিতভাবে কোন ব্যক্তিকে যুলকারনাইন হিসেবে চিহ্নিত করা যেতে পারেনি।
বাদশাহ জুলকারনাইন ছিলেন মুসলিম ও ইমানদার শাষক।যিনি সমস্ত পৃথিবী ঘুরে বেড়াতেন এবং অসহায় মানুষ ও অত্যাচারিত শাসকদের কাছ থেকে তাদেরকে মুক্ত করতেন। ফলে তেমনি একদিন তিনি পশ্চিমে গেলেন যেখানে সূর্য অস্তমিত যায়, এবং সর্ব পূর্বে যেখানে সূর্য উদীত হয়। সেখানে সে এমন এক জাতিকে খুজে পেলেন যারা ইয়াজুজ-মাজুজ এর আক্রমণের আশংকায় ছিলেন। তখন তিনি তাদের রক্ষার্থে এক প্রাচীর তৈরী করলেন লৌহা ও সীসার দ্বারা। আর সেটিই জুলকারনাইনের প্রাচীর নামে খ্যাতো। যার অবস্থান সম্পর্কে কারো কোন জ্ঞান নেই।মহান আল্লাহ তায়ালাই ভালো জানেন।
কেয়ামতের পূর্বে এরা মুক্ত হবে এবং বিশৃংখলা সৃষ্টি করবে।
আল্লাহ আমাদেরকে এর অনিষ্ট থেকে হিফাযত করুন, আমিন