আল্লাহ্ ছাড়া আর কোন বিষয়ের উপর কসম করা হারাম। যেহেতু ভুল হয়েই গেছে আর আপনি এর জন্য অনুতপ্ত, আমার আল্লাহ্ মহান, খুবই দয়ালু, পরম করুণাময়। বান্দার মনের অবস্থা বুঝেন তিনি। তওবা করুন এবং দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করুন, সহিহ নিয়ত করেন যে আর দেখবোনা। আল্লাহতালা মাফ করে দেবেন এবং সঠিকভাবে চলার তাওফিক দান করবেন। যখন খারাপ ছবি দেখতে মন চাবে তখন ভাববেন যে,, এই মুহুর্তে যদি আমার মৃত্যু এসে যায় তাহলে আর উপায় নেই। খারাপ ছবি দেখতে দেখতেই মরে যাবো আর অবশ্যই জাহান্নামে যেতে হবে তখন। মৃত্যু যন্ত্রণা ইমানদারদের জন্যেই অনেক কষ্টের, সেক্ষেত্রে খারাপ কাজ করার সময় মৃত্যু আসলে কতই না কষ্ট হতে পারে! মৃত্যুকে কল্পনা করতে থাকবেন। দেখবেন সব শয়তানি চিন্তাভাবনা দূর হয়ে যাবে। আর পারলে ইউটিউবে live died লিখে সার্চ দিলে সরাসরি মৃত্যু দেখতে পারবেন, দেখবেন মৃত্যু কত নিকটে! তখন ঈমান দৃড় হবে। চেষ্টা করুন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়তে। আল্লাহ্ আমাকে, আপনাকে, আমাদের সবাইকে হেদায়াত দান করুন এবং খাঁটি ঈমানদার হিসেবে দুনিয়া ও আখিরাতে কবুল করুন....
কসম একমাত্র আল্লাহ তাআলার নামেই করা যায়। আল্লাহ তাআলার নাম ব্যতীত অন্য কোনো জিনিসের কসম করা নাজায়েয। এমনকি কোরআন শরীফের কসম করাও জায়েজ নয়। হযরত সাহাম ইবনে মিনজাব থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, যে ব্যক্তি কুরআন শরীফের কোন একটি সূরার কসম করবে সে ঐ সূরার প্রত্যেকটি আয়াতের বদলায় একটি করে গুনাহ নিয়ে আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করবে। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা হাদীস ১২৩৬০) তবে নাজায়েয হলেও কোরআন মজীদের কসম করলে কসম সংঘটিত হয়ে যায়।আর কসমের কাফফারা হল, দশ জন মিসকীনকে দুই বেলা তৃপ্তি সহকারে খানা খাওয়ানো। অথবা প্রত্যেককে এক জোড়া কাপড় দেওয়া। আর তা সম্ভব না হলে এক নাগাড়ে তিন দিন রোযা রাখা। (বাদায়েউস সানায়ে ৩/৬৩; আলবাহরুর রায়েক ৪/২৮৬; ফাতাওয়া হিন্দিয়া ২/৫৩)
মানুষের ক্ষেত্রে কসম নিতে হলে আল্লাহর নামেই সপথ নিতে হবে। এটাই গ্রহণযোগ্য।