নিজের ইচ্ছা শক্তিই আসল জিনিস|ইচ্ছা শক্তিকে কাজে লাগাতে না পারলে হস্তমৈথুন ত্যাগ করা কষ্টকর|হস্তমৈথুন করা ইসলামে নিষেধ ও গুনাহের কাজ|তাই শরীয়ত মেনে চলুন এবং সদা পবিত্র থাকুন| হস্তমৈথুন শারীরিক ও মানসিক ক্ষতিসাধন করে থাকে|হস্তমৈথুন চালিয়ে গেলে নানাবিধ যৌন সমস্যায় জর্জরিত হবেন|তাই সার্বিক দিক বিবেচনা করে হস্তমৈথুন করা থেকে বিরত থাকুন|
ছাড়তে না পারলে তো হবে না। এক সময় যেয়ে দেখা যাবে এই বাজে কাজের জন্য নানা রকম সমস্যাদি দেখা দিবে। তখন আর কিছু করার থাকবে না এমন কি এক সময় আপনাকে বাবা হত্ব অক্ষমম করে দিবে। তাই এখন যে কোন ভাবে এই বাজে কাজ আপনাকে ছাড়তে হবে এই বাজে কাজ ছাড়তে আপনি যা করবেনঃ ১. বাজে ভিডিও দেখা বন্ধ করে দিন। ২. প্রতিজ্ঞা করুন এই কাজ আর করবেন না। ৩. নিজের মন বল শক্ত করুন ৪.আল্লাহতালা কে ভয় করুন। ৫. রুমে একা একা ঘুমাবেন না। ৬. যখন এই বাজে কাজ করতে ইচ্ছে করবে তখন কোন কাজে নিজেকে ব্যাস্ত রাখবেন। ৭.বাজে চিন্তা করবেন না ৮. সেই সকল বন্ধুদের সঙ্গে মেলামেশা করবেন না যারা এই বাজে করে।
গ্যারান্টি দিলাম, আপনি তা ছাড়তে পারবেন না। এটা এমন ভয়ানক নেশা যা মদ্যপান হতেও অত্যধিক মারাত্মক, যা আমার তিন বছরের নানা প্রকারের চেষ্টায়ও দূর হয় নি। হাজার প্রকারে চেষ্টা করেছি, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ জামাতে পড়েছি, বারবার কোরআন চুয়ে সপথ করেছি কোন লাভ হয় নি। অতঃপর রোযার মাস এলে রোযা রেখেছি যৌন তীব্রতা অবদমিত হলেও তা সম্পূর্ণ দূরিভুত হয় নি।। রোযার অল্প কিছুদিন পরেই আবার তা করার ইচ্ছা বাসনা জাগল। অথচ আমি হাদীসে এ ব্যাপারে পড়ে জানতে পারলাম আল্লাহর রাসূল রোঝা রাখার জন্য বলেছেন। এরপর এভাবে আরো একবছর চলে গেল কিন্তু তা আমি আর ছাড়তে পারি নি। চেষ্টার আমি কোন ত্রুটি রাখি নি। এরপর আবার যখন রোযার মাস এল, একমাস যাবত রোযা রাখার পর ঈদের দিন ছাড়া আরো একটানা ২০-২২ দিন রোযা রাখলাম। আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর মেহেরবানীতে একজন পূরুষ হিসেবে যৌন আকাঙ্ক্ষা জাগলেও আগের মত হস্তমৈথুনের নেশা জাগে না। আর জাগলেও নিজেকে কন্ট্রোল করার শক্তি ফিরে আসে।।
লাখ লাখ যুবকের উপর চালিত পর্যবেক্ষণ থেকে দেখা গেছে যে, হস্তমৈথুন এমন এক সমস্যা যাতে একবার কেউ আসক্ত হয়ে পড়লে প্রপার ট্রিটমেন্ট ছাড়া এ থেকে রেহাই পাওয়ার অন্য কোনো কার্যকর উপায় থাকে না বললেই চলে। আপনি অনলাইন সার্চ করলে হস্তমৈথুন অভ্যাস পরিত্যাগের বিষয়ে ভুরি ভুরি উপদেশ বাণী পেয়ে যাবেন। যার সবগুলিই অকার্যকর। তারপরও তাদের উপদেশ বাণীর যেন কোনো শেষ নেই।
কিন্তু তাদের অনেকেই বাস্তবতাটা বুঝতে পেরে কোথাও এর জন্য চিকিত্সা নেয়ার কথাটা বলে না।
কেন জানেন ??
ভালো করে শুনে নিন ** তাদের কাছে এ সমস্যা সমাধানের জন্য কোনো চিকিত্সা নেই **
তাই উপদেশ বাণী শোনানো ছাড়া তাদের আর কি-ই বা করার আছে। কিন্তু ঐসব চিকিত্সকদের নিকট চিকিত্সা নিতে গেলে ঐ অবস্থায় যখন একে একে সব গুলো উপদেশ বাণী ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয় তখন তাদের সর্বশেষ চিকিত্সা হলো - * বিয়ে করে ফেলেন *। বুঝেন অবস্থা !!!! আর এই সময়টাতে চিকিত্সার নাম করে আপনার কাছ থেকে যা নেয়ার সেটা কিন্তু তারা ঠিকই নিয়ে নিল। অথচ তারা নিজেরাই জানত তাদের কাছে এর কোনো কার্যকর ট্রিটমেন্ট নেই। শুধু তাই নয়, চিকিত্সার ব্যর্থতা ঢাকতে অবশেষে তারা এও বলেন যে - *হস্তমৈথুন কোনো ক্ষতিকর বিষয় নয় !!!!!!
যারা হস্তমৈথুন করাকে ক্ষতিকর না বলে ভালো বলে থাকেন তাদের কাছে প্রশ্ন ????
"যে ব্যক্তি আমাকে তার দুই চোয়ালের মধ্যবর্তী জিনিস (জিহ্বার) এবং দুইপায়ের মধ্যবর্তী জিনিস (যৌনাঙ্গের) নিশ্চয়তা (সঠিক ব্যবহারের) দেবে আমি তার বেহেশতের নিশ্চয়তা দিব । "-(বুখারী ও মুসলিম)
তাই কাউকে হস্তমৈথুন করার উপদেশ দিয়ে আপনি নিজে গুনাহ বা পাপের অংশীদার হবেন না। পারলে কেউ এতে আসক্ত হলে যথাযথ হোমিও চিকিত্সার মাধ্যমে তাকে এই পথ থেকে ফিরিয়ে আনুন। কারণ হোমিওপ্যাথিই একমাত্র কার্যকর চিকিত্সা বিজ্ঞান যা কোন প্রকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই যুবকদের হস্তমৈথুন অভ্যাস দূরীকরণে সফলতা দেখিয়ে আসছে।
◆হস্তমৈথুন বা স্বপ্নদোষ থেকে বাঁচার উপায় (ছেলে-মেয়ে উভয়ের জন্য প্রযোজ্য):
১★প্রতিদিন প্রতি ওয়াক্ত নামাজের পর সূরা তওবার শেষ দুই আয়াত পড়ে শরীরে ফুঁক দিতে হবে
(ইহা একটি পরীক্ষিত আমল)।
২★কোনো কারনে লিঙ্গ উত্তেজিত হলে হাত বা অন্য কোনো বস্তু দ্বারা স্পর্শ করা যাবে না।
৩★বাজে চিন্তা-ভাবনা, মন্তব্য, কথা-বার্তা বা সঙ্গ পরিত্যাগ করতে হবে।
৪★'বাংলা চটি গল্প' পড়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
৫★অশ্লীল ইমেজ, মুভি বা ভিডিও দেখা থেকে বিরত থাকতে হবে।
৬★ফেইসবুক, টুইটার বা অন্য কোথাও অশ্লীল কিছু চোখে পড়লে নিজেকে সংযত রাখার চেষ্টা করতে হবে।
৭★বেগানা পুরুষ বা বেগানা নারীর দিকে তাকানো যাবে না।
৮★অশ্লীলতার ধারে কাছেও যাওয়া যাবে না।
৯★উলঙ্গ হয়ে গোসল করা যাবে না।
১০★শরীর ও মন পবিত্র রাখা প্রয়োজন।
১১★চিত্ হয়ে শোয়া যাবে না, ডান দিকে কাত হয়ে শুতে হবে।
১২★সর্বদা আল্লাহ্'র প্রতি ভয় রাখতে হবে।
১৩★নাচ-গান বা রঙ-তামাশা থেকে বিরত থাকতে হবে।
১৪★সবসময় 'লা হাওলা ওয়ালা কুউওয়াতা ইল্লাহ্ বিল্লাহ্' পাঠ করতে হবে।
১৫★সর্বোপরি যেহেতু এটি একটি হারাম কাজ, তাই এটি থেকে বাঁচার ইচ্ছাশক্তি দৃঢ় করতে হবে। তবেই হারাম থেকে বাঁচতে আল্লাহ্ সাহায্য করবে।
১৬★আল্লাহ্ আমাদের সহায় হোন। আমিন।
https://free.facebook.com/badshahniazulhasanjewel/about?lst=100007432598691%3A100007432598691%3A1530793779&refid=17