ছেলেটির সাথে রিলেশন ছিল। এটা তিনজনই বিশ্বাস করছেন বা স্বীকার করছেন। ঝামেলা হচ্ছে বিয়ে নিয়ে। বিষয়টার সমাধান করার আগে আপনি স্থির মনে ভাবুন যে রিলেশন ছিল এটাতে আপনার কোন সমস্যা আছে কিনা? যদি এটা মেনে নিতে পারেন তবে বাকি থাকলো বিয়ে নিয়ে।
দেখুন, আপনার স্ত্রী রিলেশন ছিল এটা যখন স্বীকার করেছে, বিয়ে হলেও সেটা লুকাত বলে মনে হচ্ছে না।
আর ওই ছেলেটিই যে আপনাদের ইচ্ছাকৃত ভাবে কলহে ফেলছে না তা কি করে হয়? সম্পর্ক বিয়ের আগে অবুঝ মন করে ফেলে। বাট ছেলেদের অযোগ্যতা তা আর এগুতে দেয়না। সময় মত প্রতিষ্ঠিত না হওয়া আমাদের প্রেমিকদের একটি কমন সমস্যা। যখন মেয়েটি অসহায় হয়ে অন্যের ঘরে চলে যায় তখন সেই ছেলে যত দোষ মেয়েটিকে দেয়। এমনকি তার শান্তির সাজানো গোছানো ঘর ভাঙ্গার মত বিকৃত, অসুস্থ, অসৎ পন্থা অবলম্বন করতেও কুন্ঠা বোধ করে না। ছেলেটিকে বলুন কোন ডকুমেন্ট দেখাতে, না হয় নাকে খত দিয়ে সামনে থেকে চলে যেতে।
(যদি উপযুক্ত ডকুমেন্ট দেখায় তবে মেয়ের অবিভাবকদের ডেকে বিষয়টি মীমাংসা করুন। যেহেতু তালাক ব্যতিত দ্বিতীয় বিয়ে শুদ্ধ হচ্ছে না।)
আর এক পক্ষ (যে পক্ষ পরাজিত) এর কথা শুনে আপনি মেয়েটির উপর অন্যায় করছেন। তাকে কেন ঘৃনা করছেন? সে একজন মানুষ। আপনার স্ত্রী। যদি ঘটনা সত্যি হয়ে থাকে তারপরও তাকে ঘৃনা করার অধিকার আপনার নাই। কেননা, ইসলাম এবং দুনিয়াবী নীতি আমাদের শিখায় “পাপীকে নয়, পাপ কে ঘৃনা কর”।
সম্পর্কটাকে একশোবার নিজের উদারতা দিয়ে, ভালবাসা দিয়ে টিকানোর চেষ্টা করুন। স্ত্রীকে ভালবাসুন। সুখি হবেন।