আপনি খুব সুন্দর একটা প্রশ্ন করেছেন।এর মাধ্যমে শুধু আপনিই এর উত্তর পাবেননা বরং বিস্ময়ের আরও অনেকে জানতে পারবে। আচ্ছা মহান আল্লাহ তায়ালা যেঁ আমাদের কে এত সুন্দর করে সৃষ্টি করেছেন এতে কি আপনাদের কুনো সন্দেহ আছে?লক্ষ্য করুন আপনাকে আমাকে যেভাবে সৃষ্টি করা হয়েছে এভাবে কি আর কুনো প্রাণীকে করা হয়েছে?হয় নাই। একই জমিতে পাশাপাশি দুটি কাঁঠাল গাছ আছে,একটিতে কাঁঠাল ধরে১০০ টি,কিন্তু তাঁর পাশেই দাড়ানু গাছতি কাঁঠাল ধরে ২০ টি কিন্তু কেন?অই গাছ গুলুর পরিচর্যাকারী কি শুধু বেশি কাঁঠাল ধরা গাছে যত্ন নেয়?নাকি দুটুতেই সমান যত্ন নেয়?সমানই তো নেয়,তাহলে এই গাছ টিতে কেন কম ফল ধরে?যদি মহান আল্লাহ তায়ালা ব্যাতিত আর কেহ ধরাতে পারতেন তাহলে তো ঐ গাছে ও ধরাতো।না আর কেহই পারবেনা এই কাজ করতে। আমি একটি পরিক্ষায় প্রশ্নের উত্তর দিতে গেছি,কিন্তু আমি টিকই পারি এর উত্তর কিন্তু পারছিনা,আমার পাশে বসা ফ্রেন্ড ঠিকই উত্তর দিচ্ছে,কিন্তু আমিকেন পারছিন তাঁর কারন আল্লাহরহুকুম নাই এ উত্তর দিতে।আল্লাহর হুকুম ছাড়া যদি কুনো কাজ হত তাহলে আপনি দেখুন এই যেঁ আসমান দাঁড়িয়ে আছে ত কি কুনো খুটির উপর দন্ডায়মান?না।কুন খুটি নেই,তাহলে কীভাবে এটি দাঁড়িয়ে আছে?কিভাবে আসমানে শুন্যে অবস্থান করছে এত ভারি মেঘপুঞ্জ,কীভাবে দাঁড়িয়ে আছে শুউচ্চ হিমালয়?আচ্ছা আপনি দেখুন তো এই ভুমিকম্প হয় তাতে কি মানুষের নিয়ন্ত্রন করার হাত আছে?যদি থাকে তাহলে এত বড়বড় ভুমিকম্প হয় তা নিয়ন্ত্রন কেন করা হয়না?কারন এটি আল্লাহর হুকুমেই হয়।সরবপরি একটি কথাই বলছি আপনি যেঁ প্রশ্ন করেছে তা অত্যন্ত বিস্তৃত সাধারনত এর উত্তর য়ামি অধমের পক্ষে দেয়া সম্ভব নয়।কিংবা সামান্য লেখালেখি দারা এর বিস্তারিত উত্তর পাবেননা আপনাকে বেশ বেশি করে ইসলামি বই কিনে পড়তে হবে। আমার পক্ষে যত টুকু সম্ভবতা বললাম,ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে একবেন।
পৃথিবীতে সবকিছুই আল্লাহ নিজে হুকুম দিয়ে করান
সেটি মোটেও নয়। আল্লাহর হুকুম ছাড়া কিছুই সংঘটিত
হয় না, এটাও ভুল। পবিত্র কোরআন বা সহীহ হাদিসেও
এমন কোনো কথা পাবেন না।
তবে মহান আল্লাহ হলেন সর্বশক্তিমান ও সর্বশ্রেষ্ঠ জ্ঞানী।
তিনি সবকিছুই জানেন পূর্ব থেকে। আমি এখন বিস্ময়ে
এই উত্তরটি করছি এটাও আমার তাগদিরে আল্লাহ
লিখে রেখেছিলেন। তবে ব্যাপারটা এমন নয় যে, আল্লাহ
লিখেছেন বলে আমি লিখছি বরং আমি এই উত্তরটি করবো
তা আল্লাহ পূর্বে থেকেই জানতেন তাই তিনি এটা লিখে
রেখেছেন। সর্বশ্রেষ্ঠ, সমগ্র বিশ্বের মালিক মহান আল্লাহের
নিকট এটা জানা কঠিন কিছুই নয়।
নামধারী পন্ডিত, অর্থ শিক্ষিত ও মূর্খ শ্রেণীর লোকেরা
এমনটা বলে যে, সবকিছুই তো আল্লাহর নির্দেশে হয়,
তার নির্দেশ ছাড়া কিছুই হয় না তাহলে কেউ আত্মহত্যা
করলে, ধর্ষণ করলে, ড্রাগস নিলে তাও আল্লাহ করাচ্ছেন
(নাঊযুবিল্লাহ) আল্লাহ জানেন যে এই ব্যাক্তি ধর্ষণ করবে,
তিনি জানেন যে কোন ব্যাক্তি আত্মহত্যা করবে, এমনটা
নয় যে আল্লাহ ভাগ্যে লিখে রেখেছেন তাই সে তেমনটা
করছে বরং সে এটা করবে এটা আল্লাহ পূর্বে থেকেই
জানেন সেটিই আল্লাহ লিখে দিয়েছেন ভাগ্যে।
এখন তাহলে চিন্তা করুন যে, কৃতকর্মের জন্যে নিজে
দায়ী নাকি আল্লাহ...?
আশা করছি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
মানুষ একটু বেশি বাড়াবাড়ি করেই আন্দাযে বলে যে
আল্লাহের হুকুমে সব কিছু হচ্ছে। যেমন টা বলে থাকে
হযরত মুহাম্মদ (সঃ) নুরের তৈরি।
আল্লাহ মানুষকে স্বাধীনতা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। প্রতিটি
মানুষ কখন কি করবে সব তার ব্যাক্তিগত ব্যাপার এবং
সেই নিজেই সবকিছুর দায়ভার , আল্লাহ নয়।
আপনার প্রশ্ন সম্পর্কিত এ ধরনের যে আয়াতটি
কোনআনের সাথে কিছুটা সাদৃশ্য রয়েছে তা হলো
সূরা : আন'আম, অধ্যায় নং : ০৬, আয়াত নং: ৫৯
"তাঁর কাছেই অদৃশ্য জগতের চাবি রয়েছে। এ গুলো তিনি ব্যতীত কেউ জানে না। স্থলে ও জলে যা আছে, তিনিই জানেন। কোন পাতা ঝরে না; কিন্তু তিনি তা জানেন। কোন শস্য কণা মৃত্তিকার অন্ধকার অংশে পতিত হয় না এবং কোন আর্দ্র ও শুস্ক দ্রব্য পতিত হয় না; কিন্তু তা সব প্রকাশ্য গ্রন্থে রয়েছে। "
অর্থাৎ, আল্লাহের অজান্তে কিছুই সংঘটিত হয় না, সব
তাঁর কাছে দৃশ্যমান।
কিছু লোক এই আয়াতটিকে রেফারেন্স দিয়ে ভুল ব্যাখা
করে বলে যে, আল্লাহর অজান্তে কিছুই হয় না তার মানে
আল্লাহ সব কিছু করান।
আপনি নিজেই চিন্তা করে দেখুন যে দুটি কথা এক কি না।
আল্লাহ কোরআনে বলেছেন কি আর ভুল ব্যাখা করে
বলা হচ্ছে কি..!