গণিত এমন এক বিষয় যা শুধু বুঝলেই হয় না বোঝটাকে পরিপূর্ণ করতে হলে তা বেশি বেশি করে করতে হবে।বার বার চেষ্টা করুন।আপনি গণিত করতে গেলে আটকে যান, এ জন্য আপনি যখন একটি অংক করবেন তখন যে জায়গায় আটকে যাবেন সেই জায়গায় ভালো করে বুঝে বার বার করতে থাকবেন। মনে রাখবেন গণিত যত বেশি চর্চা করবেন তত আপনার দক্ষতার পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে।
আগেই বলে রাখি গণিত কিন্তু মুখস্তের বিষয় নয়। যদি তুমি স্কুলে পড়ে থাকো তাহলে তোমাকে অবশ্যই গণিতে ভালো গ্রেড পেতে হবে। আর ভালো গ্রেড পাওয়ার জন্য অবশ্যই কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। নিচে সেরকম কিছু নিয়ম দেয়া হলোঃ ১. একদিনেই গণিতের একাধিক বিষয় সম্পর্কে ধারণা নেয়ার চেষ্টা করতে যাবা না। তোমার কাছে যেই টপিকটা সবচাইতে বেশী সহজ মনে হয় সেই টপিকটা নিয়ে আগে বসো, সেই বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করো, অঙ্কগুলো নিজে নিজে করার চেষ্টা করো, প্রয়োজন হলে টিউটরের সাহায্য নাও। তবে খেয়াল রাখতে হবে তুমি যেই বিষয়টা বুঝবা না সেটা নিয়েই টিউটরের সাথে আলোচনা করবা। ২. অনেকেই আছে যারা কোন বিষয় বুঝতে না পারলেই গুগলে সার্চ দেয়। কিন্তু এটা উচিত নয়। তোমার উচিত হবে ভালো বই সংগ্রহ করা এবং নিজে নিজে সমাধান করার চেষ্টা করা। গণিতের মজার সব ধাঁধা সমাধান করার চেষ্টা করো। এই জন্য মুহম্মদ জাফর ইকবাল এর লেখা নিউরনে অণুরণন, নিউরনে আবারো অনুরণন বই দুটি পড়তে পারো। বই দুটিতে চারশ মজার সব ধাঁধা আছে। ৩. ক্লাসের বইয়ের পাঠগুলো যখন শিক্ষক পড়াবেন তখন প্রয়োজনীয় বিষয়, সমীকরণ, সুত্রগুলো খাতায় নোট করে নাও। ৪. যখন কোন একটি অধ্যায় শেষ হবে তখন এমন কিছু প্রশ্ন খুঁজে বের করো যেগুলোর উত্তর দেয়া আছে। এখন তুমি উত্তরগুলো না দেখে সমস্যাগুলোর সমাধান করার চেষ্টা করো। আর হ্যা, যদি প্রয়োজন হয় তবেই ক্যালকুলেটর ব্যবহার করবা। ছোটখাটো কাজগুলো ক্যালকুলেটর ছাড়াই করার চেষ্টা করবা। ৫. তোমার সমাধান যদি সঠিক হয় তাহলে পরবর্তী সমস্যার দিকে যাও। আর যদি ভুল হয় তাহলে খুঁজে বের করো কোথায় ভুলটা হয়েছে। তবে উত্তর না দেখে! যদি একেবারেই খুঁজে না পাও কেবলমাত্র তখনই উত্তরের সাথে মিলিয়ে ভুলটা খুঁজে বের করবে। ৬. যেকোন পাঠ শেষ করার পরে তুমি সেই পাঠটা নিয়ে তোমার শিক্ষকের সাথে আলোচনা করো। তোমার করা নোটগুলো শিক্ষককে দেখাও। কোথাও ভুল থাকলে সংশোধন করে নাও। ৭. গণিত এমন একটা বিষয় যেখানে মুখস্ত করা বলতে কিছুই নেই। যখন তুমি একটা অধ্যায় শেষ করবে তখন একই রকম আরো সমস্যা সমাধান করো যেগুলো তোমার বইয়ে নেই। ৮. তোমাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে ‘প্র্যাকটিস মেকস এ ম্যান পারফেক্ট’, কিছু কিছু সমস্যার ক্ষেত্রে তুমি প্রথমবারে সঠিক সমাধান নাও পেতে পারো। এরকম হলে কিছুক্ষণ পরে আবার চেষ্টা করো। ৯. তুমি যে পাঠগুলো সম্পন্ন করেছ সেগুলো নিয়মিতো রিভিউ করো। নইলে ভুলে যাবে। ১০. যখন পরীক্ষা চলে আসবে, তার কিছুদিন আগে থেকেই গণিত বিষয়ে বেশী মনোযোগী হও এবং তোমার শিক্ষকের সাথে সেই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করো যেগুলো তুমি ভালোভাবে বুঝতে পারোনি। ১১. গণিত বিষয়ে উচ্চতর কোন কোর্স করার আগে এমন কারো সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করো যে আগে কোর্স করেছে। ১২. গণিতের সাধারণ সুত্রগুলি, সমীকরনগুলি মনে রাখতে চেষ্টা করো। তোমাকে সব সমীকরণ মনে রাখতে হবে না। কিছু সমীকরণ মনে রাখলেই চলবে। কারণ একটি সমীকরণ থেকেই তো আরেকটি এসেছে! ১৩. নিজে নিজে টেস্ট পরীক্ষা দাও। এইজন্য সহায়ক বইয়ের সাহায্য নিতে পারো। সহায়ক বইয়ের শেষে বোর্ড পরীক্ষার প্রশ্ন দেয়া থাকে। সেগুলোকে প্রশ্ন হিসেবে ব্যবহার করো। খাতাও নিজে মূল্যায়ন করো। ১৪. সবথেকে বড় কথা প্রতি মুহুর্তে তুমি কোন না কোন নতুন বিষয় শিখছো। গণিত করতে গেলে প্রতিদিনই শিখতে হয় নতুন কোন সমীকরণ, কিংবা নতুন কোন সুত্র। সমীকরণ বা সুত্রগুলো মুখস্ত না করে সুত্রগুলো কিভাবে এসেছে সেটা মনে রাখো।
অংক যখন বুঝতে পারেন তাহলে তো অংক গুলা করতেও
পারবেন
আমার মনে হয় আপনি বাসাত এসে উক্ত অংক গুলা করেন
না যে গুলা স্যার আপনাকে করিয়েছে যদি করে থাকেন তাহলে
এই রকম হওয়ার কথা নয়।
আপনাকে স্যার যে অংক গুলা করাবে সে অংক গুলা বাসাতে
বার বার করবেন এবং পড়ার সময় অংক বিষয়টিকে একটু বেশি
সময় দিবেন ইন শা আল্লাহ্
আপনি তখন অংক করতে পারবেন
আপনি যেহেতু গনিতের অঙ্কগুলো বুঝতে পারেন কিন্ত করতে গেলে পারেন না. সেহেতু আপনাকে গনিতের অঙ্কগুলোর প্রতি বেশ মনোযোগী হতে হবে. বিশেষ করে আপনাকে আগে অধ্যায় ভিত্তিক যে সূত্র রয়েছে সেগুলো আগে মুখস্ত করতে হবে.. * যে অধ্যায়ের প্রশ্নের উত্তর বুঝতে বা করতে চান সেই অধ্যায়ের সূত্র গুলো আগে জেনে নিয়ে তারপর অঙ্ক করা বা বুঝা শুরু করবেন.. আশা করি ভালো ফলাফল পেতে পারেন..