শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
অন্য পাখিদের মত কোকিলের বাসা বাঁধবার কোন রকমের প্রবনতা দেখা যায় না । ডিমে তা দেওয়া বা ডিম ফুটে বাচ্চা বের হলে খাবার জোগাড় করে আনা,এ তো মায়ের কাজ । কিন্তু মেয়ে কোকিলের এমন কাজে আগ্রহ নেই। সব জীবেরই যে নানান রকম প্রবনতা দেখা যায় তা শরীরে তৈরি হওয়া বিভিন্ন হরমোনের প্রভাবেই ঘটে থাকে। এর মধ্যে আছে পাখিদের ডিমে তা দেওয়া এবং ছানাকে খাওয়ানোর মত ঘটনা। পাখিদের এসব ব্যাপারের মুলে রয়েছে প্রোলাকটিন নামক হরমন। পাখির মস্তিষ্কের পিটুইটারি গ্রন্থি থেকেই প্রোলাকটিনের ক্ষরণ ঘটে। কিন্তু কিছু কিছু মেয়ে কোকিলের প্রোলাকটিন ক্ষরণ হয় না । তাই তার ভেতর মাতৃত্ব জাগে না। কিন্তু মাতৃত্ব না জাগলেও সে ডিম পাড়ে এবং সে ডিম ফুটে বাচ্চা হওয়া দরকার। তাই মেয়ে কোকিল ডিম পাড়ার আগে দেখে নেয় কোন কাকের বাসায় সদ্য ডিম পাড়া হয়েছে। পরে সে অবস্থা বুঝে কাকের বাসায় ডিম পাড়ে।(টুডে ব্লগ)
পরের বাসায় ডিম পাড়ার এই প্রক্রিয়াকে বলে বাসা পরজীবিতা । কোকিল প্রজাতির ৪০ শতাংশ পাখি পরের বাসায় ডিম পাড়ে । বাকি পাখিসমূহ নিজেরা ডিম পাড়ে ও বাচ্চা লালনপালন করে । বাসা পরজীবিতা নিয়ে আরো পড়ুন উইকিপিডিয়ায়
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ