শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে
Call

http://ans.bissoy.com/133314/ লিঙ্কে বিস্তারিত ভাবে উত্তর দেয়া আছে। দেখে নিবেন।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

 তাবিজ দুই প্রকার। ১. শিরকি তাবিজ। ২. জায়েয তাবিজ। সুতরাং আপনাকে দেখতে হবে, আপনি যে তাবিজগুলো এনেছেন, সেগুলো কোন প্রকারের তাবিজ? বিষয়টা আপনার কাছে বোধগম্য না হলে প্রয়োজনে কোনো মুহাক্কিক আলেমকে দেখাতে পারেন। কেননা, পবিত্র কুরআনের আয়াত, আল্লাহর নাম বা দুআয়ে মাসুরা থাকলে তা শিরকি তাবিজ হয়না; বরং তা জায়েয তাবিজের আওতায় পড়ে। এ জাতীয় তাবিজের ব্যবহার সাহাবায়ে কেরাম ও তাবিঈনে কেরাম থেকেও প্রমাণিত। যেমন-

১.আমর ইবনে শুআইব তাঁর পিতা ও তিনি তাঁর দাদা থেকে বর্ণনা করেন যে,রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন-তোমাদের কেউ যখন ঘুম অবস্থায় ঘাবড়িয়ে উঠে,সে যেন  أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ، مِنْ غَضَبِهِ وَشَرِّ عِبَادِهِ، وَمِنْ هَمَزَاتِ الشَّيَاطِينِ وَأَنْ يَحْضُرُونِ দো’আটি পাঠ করে। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) তাঁর উপযুক্ত সন্তানদের তা শিক্ষা দিতেন এবং ছোটদের গলায় তা লিখে লটকিয়ে দিতেন।(সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৩৮৯৫)

২.সাঈদ ইবনে যুবাইর (রা.)এর নিকট কেউ এসে তাবিজ চাইলে তিনি তাকে তাবিজ লিখে দিতেন।(মুসান্নাফ ইবনু আবী শাইবাহ ২৩৫১১)

৩.বিখ্যাত তাবিঈ আতা ইবন আবী রাবাহ (রহ.) সাঈদ ইবন মুসাইয়াব (রহ.) ইবন সীরীন (রহ.) মুজাহিদ (রহ.) প্রমূখ ফতওয়া দিতেন,তাবিজ কুরআনের আয়াত, আল্লাহর নাম বা দুআয়ে মাসুরা দ্বারা হলে কোনো অসুবিধা নেই।(ইনাম নববীকৃত আলমাজমূ’ ৯/৭৪,মুসান্নাফ ইবনু আবী শাইবাহ ৫/৪৩-৪৪, কিতাবুত্তিব্ব ৪৩৯/৩২৬১)

শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া (রহ.) বলেন-

يجوز أن يكتب للمصاب وغيره من المرضى شيئا من كتاب الله وذكره بالمداد المباح ويغسل ويسقى كما نص على ذلك أحمد وغيره

বিপদগ্রস্ত বা অসুস্থ লোকদের জন্য কালি দ্বারা আল্লাহর কিতাব, আল্লাহর জিকর লিখে দেয়া এবং ধুয়ে পান করা জায়েয। (ফাতাওয়া ইবনে তাইমিয়া-১৯/৬৪)

সুত্রঃ http://quranerjyoti.com
ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ