এই সমস্যার দুটি কারন হতে পারেঃ প্রথমতঃ আপনি যখন যা ভাবেন তা মনের অগোচরেই বির-বির করতে করতে বলে দেন। যা আপনি নিজেও বুঝতে পারেন না যে এটা আপনার মুখে উচ্চরিত হয়ে গেছে,অর্থাত এই ঘটনাটি ঘটে আপনার মনের অগোচরেই। এবং ধরেন আপনি বিরক্ত বা খুশি হচ্ছেন মুখে প্রকাশ না করলেও এটা অনেক সময় মুখাভঙ্গিতে পরিষ্কারভাবে ফুটে ওঠে। যাতে আপনার সামনে থাকা দ্বীতিয় ব্যাক্তিটি আপনার মনের কথা ধরে ফেলতে পারেন । আমার একজন টিম মেম্বার আছেন যিনি এই ধরনের কাজ করেন এবং আমি তার মনের কথা হুবুহু বলে দিতে পারি যা থেকে সেও অবাক হয়ে যায়। দ্বীতিয়তঃ হয়ত কখনো দু একটি বিষয় আপনার সামনে থাকা ব্যাক্তিটি ধরে ফেলেছেন। তার পর থেকে আপনি এটা ধরেই নিয়েছেন যে সে আপনার সকল বিষয় বুঝতে পারেন। আবার কখনো হয়ত এমন হয়েছে যে সে বিষয়টি বুঝতে পারেন নাই যে আপনি কি ভাবছেন,তখন আপনি ও বিষয়টা বুঝতে পারেন নাই যে সে আপনার মনের অবস্থা বুঝেন নাই। কিন্তু যখন ৫ টি বিষয়ের ভিতর দুই-একটা টা ধরতে পারেন তখন আপনি অবাক হয়ে যান । মাঝে যে তিনটি বিষয় বুঝেন নাই সেটা অগোচরেই রয়ে যায়। এটা আমার নিজস্ব মতামত,এমনটি ই যে হবে ঠিক তা নয়। (ধন্যবাদ)
আপনি যে প্রশ্ন করেছেন,এটা কখনো সম্ভব না, কারো মনের কথা কেউ জানতে পারে না। এক সাথে চলা ফেরা বা পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে কিছু কথা অনুমান করে বলা যায়। হুবহু কেউ বলতে পারবে না। তাই আপনি নিশ্চিত থাকেন কেই আপনার মনের কথা জানতে পারবে না। চাইলে আপনি পরীক্ষা করে দেখে নিবেন যে কথা কথা মনে মনে ভাববেন তারপর দেখবেন অপরজন বলতে পারে কি না।
আপনার মনে হয় আপনার আশেপাশের মানুষ বুঝতে পারে আপনি কি নিয়ে ভাবছেন।যদিও মানুষের মনের কথা বোঝা সম্ভব না।তারপরেও এটা পরীক্ষা করার একটা উপায় বলছি।আপনি মানুষের সামনে জটিল কিছু চিন্তা করবেন।যেমন,পদার্থের জটিল কোন বিষয় বা প্যারাডক্স নিয়েও ভাবতে পারেন।এতেই বোঝা যাবে আপনার আশেপাশের মানুষ আপনার মনের কথা বুঝতে পারে কিনা।আর একটা সহজ সমাধান।আপনি মনে মনে আপনার সামনের মানুষটিকে গালি দিতে পারেন (এটা প্রয়োগ না করাটাই উত্তম) বা প্রশ্ন করতে পারেন।
"আপনার এরকম অনুভুতি হয় যে আপনি যা ভাবেন অন্যজন তা বুঝতে পারে। এজন্য আপনি লোকজনের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কোনো বিষয়ে ভাবতে ভয় পান "--- এ থেকে বোঝা যায় যে আপনার আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি রয়েছে তা না হলে এমনটা আপনিও ভাবতে পারতেন না। প্রথমে আপনাকে ন্যাচারাল বা লজিক বুঝতে হবে যে মানুষের মনের কথা কখনো অন্য কেউ জানতে পারে না। যদি না সেই মানুষটি কোন ইঙ্গিত ইশারা না দেয় তো। কিন্তু কিছু কিছু বিষয় আছে যে আপনি বা কেউ তার মনের কথা না বললেও অন্য কেউ সহজেই বুঝতে পারবে। যেমন : এখন কেউ যদি আমাকে বলে যে "জুনায়েত, এখন তোমার মনের ইচ্ছা হল, তুমি বিস্ময় আনসার এর প্রশ্নকারী কে সাহায্য করতে চাচ্ছ, আর তোমার মনের ইচ্ছে ওকে যেন তোমার ভাষা/মনোভাবটি বোঝাতে পারো "। আমি কিন্তু এই কথাটি কাউকে বলিনি কিন্তু এই বিষয়টি যে কেউ সহজেই অনুধাবন করতে পারবে, এমনকি আপনিও। কারণ এটি একটি স্বাভাবিক ব্যাপার/ লজিক্যাল। এর মানে এই না যে আমার মনের কথা কেউ জানতে পারে, আমি না বললেও। আপনার ক্ষেত্রেও হয়তো বা এরকম ভাবে যে কিছু সাধারন ব্যাপার যা না বললেও সহজে কেউ বুঝতে পারে, সেই কথাগুলো আপনি না বললেও তারা বুঝতে পারতেছে। মনে করুন আপনার একমাত্র শখের হ্যান্ডসেটটি নষ্ট হয়ে গেছে। তখন আপনি চুপচাপ বসে আছেন। এমতাবস্থায় আপনাকে কেউ যদি বলে যে "আপনার মনের কথা আমি জানি তা হল, : আপনার মনটি খুব খারাপ এবং আপনি নতুন একটি মোবাইল কেনার কথা ভাবছেন, আর তা ও খুব শীঘ্রই। আর আপনি আপনার অনলাইনে বন্ধুদের খুব মিস করছেন, আপনার অনুভূতি টি এরকম ইস আমার মোবাইল যদি নষ্ট না হতো তাহলে ভালো হতো। আপনি এখন একটু গভীরভাবে কল্পনা করুন, এখানে আপনি কিন্তু আপনার মনের কথা কাউকে বলেন নি। কিন্তু একটু বুদ্ধি খাটিয়ে যে কেউ বুঝতে পারবে, কারন সাধারন ব্যাপার যে যখন আপনার হ্যান্ডসেটটি নষ্ট হয়ে যাবে তখন আপনার মনের অবস্থা এমনটা হওয়াই স্বাভাবিক। তো এর মানে এই না যে, আপনার মনের কথা আপনি না বললও কেউ বুঝে ফেলছে। আপনার ক্ষেত্রে এমন হয়েছে, আপনার মনের কথা জানতে পারছে তারা নিশ্চয়ই আপনার অনেকদিন পরিচিত কেউ বা সুসম্পর্কের কেউ। অথবা এমন কোন ঘটনা বা এমন কিছু ভাবনা যা আপনি কেন অন্য যে কেউ ভাবলেও সহজেই যে কেউ বর্ণনা করতে পারে। এখন পর্যন্ত আমি যতটুকু লিখেছি।। আপনি যদি এতোটুকু বুঝতে পারেন, তাহলে আপনার প্রশ্নের সম্পূর্ণ উত্তর পাওয়ার কথা এবং এ সম্পর্কিত কোন প্রশ্ন না থাকার কথা। এরপরও আমি বলছি যেহেতু আপনি প্রশ্ন করেছেন যে "আমি নিজে থেকে কিভাবে পরীক্ষা করে বুঝবো আমি মনে মনে যা ভাবছি অন্যজন তার কিছুই জানতে পারছে না"...? এই পরীক্ষাটি করার জন্য আপনাকে এমন কিছু ভাবতে হবে যা লজিক্যালি কেউ বুঝতে পারে না, যেমন " আপনি এখন অসম্ভব কিছু কল্পনা করুন মনে মনে। উদাহরণ : একাকি বসে ভাবতে থাকুন "আপনি নেপালের প্রধানমন্ত্রী হবেন, তারপর নেপাল থেকে অনেক টাকা চুরি করে বাংলাদেশে এসে কোটিপতি হবেন।" ব্যাস এতটুকু.... এবার আপনি যে কোন ব্যক্তি কে জিজ্ঞাসা করুন যে "আপনি কি ভাবতে ছিলেন, দেখবেন নিশ্চয়ই কেউ বলতে পারবে না। এই পরীক্ষার মাধ্যমে আপনি প্রমান পাবেন যে, আপনি যা ভাবছেন তাই কেউই জানতে পারছে না। এবং মানুষ যা ভাবে তা না বললে কেউ কখনো জানতে পারেনা।
বি.দ্র.-প্রশ্নকর্তা ভাই আমাকে আগে এবং আজও অনেকবার উত্তর প্রধান করার জন্য ব্যাক্তিগত বার্তায় রিকুয়েষ্ট করায় পুরাতন প্রশ্নে উত্তর দিলাম!
★মনোবিজ্ঞান অনুসারে মানুষের কিছু অঙ্গভঙ্গী তার মনের কথা প্রকাশ করে। এই সব সংকেত আপনার অজান্তেই কখনো কখনো আপনার মনের কথা বলে দেয়!
যেমন-চোখ বন্ধ করে কথা বলা-আপনি যখন কারো থেকে লুকিয়ে কথা বলতে চাইবেন/কারো প্রতি বিরক্তবোধ নিয়ে কথা বলবেন তখন নিজের অজান্তেই হয়তো আপনার কাছ থেকে এই ভঙ্গিটি প্রকাশ পায়৷
চশমার ডাটি কামড়ানো-চশমার জায়গায় কোন কলম বা পেন্সিলও থাকতে পারে। এর অর্থ আপনি চিন্তিত এবং নিরাপদ বোধ করছেন না।আপনার এমন আচরণেও অন্যরা অনেক সময় বিষয়টা বুঝতে পারে৷
জুতা নাচানো-এর অর্থ সে স্বস্তিবোধ করছেন এবং খুবই ইতিবাচক আছেন।হয়তো আপনার অজান্তেই এমন কাজ সংঘটিত হচ্ছে আর আপনার মনের কথাটি অন্যজন পড়ে নিচ্ছে!
মুখচ্ছবিতে ফুটে উঠা/মুখের ভঙ্গি!আপনি যখন যা ভাবেন তা মনের অগোচরেই বির-বির করতে করতে বলে দেন। যা আপনি নিজেও বুঝতে পারেন না যে এটা আপনার মুখে উচ্চরিত হয়ে গেছে,অর্থাত এই ঘটনাটি ঘটে আপনার মনের অগোচরেই। এবং ধরেন আপনি বিরক্ত বা খুশি হচ্ছেন মুখে প্রকাশ না করলেও এটা অনেক সময় মুখাভঙ্গিতে পরিষ্কারভাবে ফুটে ওঠে। যাতে অন্য ব্যাক্তি আপনার মনের কথা ধরে ফেলতে পারেন।
এসব উদাহরণ মাত্র! বাকি আপনি সরাসরি কি বলছেন কি ভাবছেন?এটা অন্যজন জানতে পারা অনেকটাই অসম্ভব! তবুও আপনার মনে এমনটি আসলে আপনি প্রথমতো-আপনার অঙ্গভঙ্গির প্রতি নজর রাখুন!ধরুন আপনি একটা কথা ভাবছেন,আর সে বিষয়টি অন্যজন বুঝতে পারলো!
এখন আপনি দেখুন যে,কিভাবে জানলো?
প্রথমতো-আপনার মনের কথা সরাসরি পড়তে পারা কোন মানুষের পক্ষে অসম্ভব,কোন মাধ্যম ছাড়া!(আল্লাহই একমাত্র মনের খবর জানে!)
তাহলে,নিশ্চয় আপনার মনের ভাবনাটি আপনার কোন অঙ্গ-ভঙ্গি/অন্য কোন মাধ্যম বলে দিচ্ছে৷
এখন এবিষয়টা জানার উপায়-প্রথমতো,আপনার কোন সময় এমন ঘটার সাথে সাথে আপনি আপনার নিজের শারীরিক অঙ্গভঙ্গির প্রতি খেয়াল করুন,আপনি এবিষয়টা গভীরভাবে জানার চেষ্টা করুন যে,কেন/কিভাবে জানলো সে?আপনার ভঙ্গি তখন কেমন ছিলো?আপনি যদি কিছুটা বুঝতে পারেন,দ্বিতীয়বার কিছুটা নিজ-ইচ্ছায় কারো সাথে এমন ভঙ্গিতে কথা বলে পরীক্ষা করুন!
ফলাফল -আপনি সঠিক/ভুল!
যদি সঠিক হয়,তবে এসব অঙ্গভঙ্গি আপনার অভ্যাসে পরিনত হয়েছে এবং আপনি তা ছাড়ার চেষ্টা করুন৷
আর যদি ভুল হয়,তবে আপনি দ্বিতীয় কোন কারণ খোঁজার চেষ্টা করুন!তাতেও যদি ব্যার্থ হন,তবে আপনার অবশ্যই অবশ্যই একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ এর সাথে পরামর্শ করা প্রয়োজন!
কারণ, মনোরোগ এটার লক্ষ্মণ সবসময় মানুষের সাধারণত জ্ঞানে উপলব্ধি করতে পারে না৷
উল্লেখ্য -আমার সাধারণ জ্ঞানে যতটুকু আসলো বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করার চেষ্টা করেছি!বাকি এটা খুবই দূর্লভ বিষয়!যথাযথ উত্তর দিতে না পারলেও ক্ষমা করবেন৷
আপনার প্রশ্নের প্রেক্ষিতে সবাই যথাযথ উত্তর দিয়েছে।আমি কেবল পরীক্ষার কথাটি বলব।
প্রথমত, আপনার মুখ অবয়বে একটা আত্মবিশ্বাস তৈরী করুন।