শেয়ার করুন বন্ধুর সাথে

কালো দাগ দূর করার আছে কিছু ঘরোয়া উপায়। জেনে নিন সহজ উপায় গুলো।স্ক্র্যাবিং অনেক সময় মৃত চামড়ার কারণে বগলে বিচ্ছিরি কালো দাগ হয়ে যায়। তাই মৃত চামড়া সরিয়ে ফেলতে পারলে রাণের কালো দাগ অনেকটাই কমে যায়। আর মরা চামড়া পরিষ্কার করার জন্য প্রয়োজন নিয়মিত স্ক্র্যাবিং করা। জেনে নিনস্ক্র্যাবিং এর দুটি পদ্ধতি।আধা চা চামচ লবণ, দুই চামচ গোলাপ জল, সামান্য জনসন বেবি পাউডার মিশিয়ে বগলের নিচে কিছুক্ষন ঘষে নিন। ৩০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে নিয়মিত ব্যবহার করুনদেখবেন গোপনাঙ্গের কালো দাগ দূর হবে।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ
Call

কালো দাগের কারণ:

 ০১. সেভিং :

যখন আপনি আনডার আর্মে রেজার ব্যবহার করেন তখন শুধুমাত্র ত্বকের উপরের লোমটুকুই কাটতে পারেন ।গোঁড়া সহ লোম উঠে আসেনা ।তাই একটা কালো কালো ভাব থেকে যায় ।একই অবস্থা anne french বা veet নামক লোম দূর করা ক্রিম এর ক্ষেত্রেও ঘটে ।যা শুধুমাত্র লোমগুলোকে ত্বকের সার্ফেস থেকে দূর করে ।এর গোঁড়া থেকে দূর করতে পারেনা ।এজন্য আন্ডার আর্মে লোম দূর করার জন্য ওয়াক্সিং ভালো ,কারণ এটি চুলের গোঁড়া সহ তুলে আনে ।

০২. মৃত কোষ :

আন্ডার আর্ম এর ত্বকের মৃত কোষ জমা হয়ে সেই অংশ কালো করতে পারে ।এজন্য এই মরা কোষগুলো দূর করা প্রয়োজন ।এই মরা কোষ দূর করার জন্য আপনি স্ক্রাব ব্যবহার করতে পারেন ।তবে স্ক্রাবটি যেন ল্যাকটিক এসিড সমৃদ্ধ হয় ।

০৩. অতিরিক্ত ডিওডোরেন্ট বা এন্টিপারস্পাইরেন্ট ব্যবহারের ফলে :

এটা বিভিন্ন সময়ে প্রমাণিত হয়েছে যে ডিওডোরেন্ট এ যেসব কেমিক্যাল থাকে তা আন্ডার আর্ম  কালো হওয়ার জন্য দায়ী ।এই সব ডিওডোরেন্ট পিগমেন্টেশন করে যা কালো দাগ করে ।এই সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য সেনসিটিভ ত্বকের জন্য তৈরি ডিওডোরেন্ট ব্যবহার করতে পারেন অথবা প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে আন্ডার আর্ম গন্ধ দূর করতে পারেন।

০৪. ফ্রিকশন বা ঘর্ষণ :

যখন খুব টাইট পোশাক পরি তখন কাপড়ের সাথে আন্ডার আর্মে ত্বকের ঘর্ষণের কারণে কালো দাগ হতে পারে ।এজন্য খুব টাইট পোশাক না পরে কিছুটা ঢিলেঢালা পোশাক পরা উচিৎ। পোশাক এমন হতে হবে যা গরমে আরামদায়ক এবং যার ভেতর দিয়ে বাতাস চলাচল করতে পারে।সাধারণত যাদের আন্ডার আর্ম  চর্বি বা মেদ থাকে তাদের কাপড়ের সাথে ঘর্ষণটা বেশী হয় ফলে কালো হয়ে যায় জায়গাটা ।তাই ওজন কমালে কিছুটা উপকার হবে ।

০৫. বংশগত কারণ :

মাঝে মাঝে বংশগত কারণেও আন্ডার আর্ম  কালো হয় । অতিরিক্ত ওজন এবং হরমোনের কারণে অথবা জন্মনিয়নত্রণ বড়ির কারণেও কালো হয়ে যায় আন্ডার আর্ম ।এজন্য এই সকল সমস্যা হলে ডাক্তারের কাছে গিয়ে পরামর্শ নিন।কারণ এই সকল সমস্যা আপনার শরীরে আনডার আর্ম বা বাহুর নিচ কালো করার চেয়েও আরও ভয়াবহ সমস্যার জন্ম দিবে ।

০৬. ডায়াবেটিস :

এটির কারণেও আন্ডার আর্ম কালো হয় কারণ এর জন্য পিগমেন্টেশন হয় যা আমরা অনেকেই জানিনা ।তাই ইনসুলিন লেভেল নিয়নত্রণে রাখা দরকার ।

কালো আনডার আর্ম থেকে মুক্তির উপায় :

০১. ওয়াক্সিং অথবা ইলেক্ট্রোলাইসিস:

আনডার আর্ম কালো হওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ সেভিং অথবা হেয়ার রিমুভিং ক্রিম। এজন্য ওয়াক্সিং করুন ।যদিও এটা আপনাকে কিছুটা ব্যাথা দিবে।কিন্তু এর মাধ্যমে চুল গোঁড়াসহ উঠে আসবে এবং এতে করে আপনার আন্ডার আর্ম হবে ফর্সা ।এটি এক্সফোলিএটিং হিসেবেও কাজ করে।যারা আন্ডার আর্ম  লোম থেকে চিরদিনের জন্য মুক্তি পেতে চান তারা ইলেক্ট্রোলাইসিস করতে পারেন ।এটি একটি স্থায়ী পদ্ধতি ।সময়ের সাথে আস্তে আস্তে কালো দাগ চলে যাবে ।

০২. ফর্সাকারী মাস্ক :

কালো আন্ডার আর্ম ফর্সা করার জন্য ঘরে বসেই তৈরি করতে পারেন মাস্ক ।

উপকরণ:-

  • আধা চা চামচ লবণ
  • ১/৩ কাপ গোলাপ জল
  • ১/৩ কাপ জনসন বেবি পাউডার ।

পদ্ধতি :- উপরের সব উপকরণ একসাথে মিশিয়ে নিন।যতক্ষণ নরম একটি মিশ্রণ না হয়।এটি আপনার আন্ডার আর্ম  লাগিয়ে ৩০ মিনিট রাখুন।এরপর ধুয়ে ফেলুন আর ভালো ফলাফল দেখুন প্রথম বার ব্যবহারেই ।এটি প্রতিবার ওয়াক্সিং এর পর পরই আপনার আন্ডার আর্ম  লাগাবেন ।

০৩. লেবুর রস :

এটি একটি খুবই উপকারী পদ্ধতি ।গোসলের আগে লেবু কেটে আন্ডার আর্ম ঘষতে হবে ।লেবু ন্যাচারাল বা প্রাকৃতিক ব্লিচিং হিসেবে কাজ করে।গোসলের পর ত্বক নরম করার জন্য ময়েশ্চারাইজিং ক্রীম লাগান ।

০৪. আলু এবং শসা :

আলু প্রাকৃতিক ব্লিচিং হিসেবে কাজ করে । আলু পাতলা করে কেটে আন্ডার আর্ম  ঘষতে পারেন বা আলুর রস বের করেও লাগাতে পারেন ।১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।একইভাবে শশা ব্যবহার করতে পারেন।

০৫. জাফরান মিশ্রণ :

এক চিমটি জাফরান ২ চামচ দুধে অথবা ক্রীমে মিশিয়ে শোবার সময় আন্ডার আর্ম  লাগান।পরদিন সকালে ধুয়ে ফেলুন।এটি শুধু বাহুর নিচের অংশ কে ফর্সাই করে না, জার্ম ও ব্যাকটেরিয়াও ধ্বংস করে।

০৬. ডিওডোরেন্ট কম পরিমাণে ব্যবহার করুন :

প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করে শরীরের গন্ধ কিছুদিনের জন্য দূর করুন ।বেকিং সোডা অল্প পানিতে দিয়ে আনডার আর্ম ধুয়ে ফেলুন।ডিওডোরেন্ট সরাসরি শরীরে না লাগিয়ে কাপড়ে লাগান ।

০৭. চন্দন ও গোলাপজল :

একসাথে মিশিয়ে লাগান ।চন্দন এর ফর্সাকারী উপাদান দিয়ে ফর্সা করবে আর গোলাপ জল ত্বক রাখবে ঠান্ডা আর নরম ।

০৮. ফর্সাকারী স্ক্যাব :

সেনসিটিভ ত্বকের জন্য তৈরি স্ক্রাব যেমন , nivea ,st lves & everyouth স্ক্রাব ব্যবহার করতে পারেন ।

ভিডিও কলে ডাক্তারের পরামর্শ পেতে Play Store থেকে ডাউনলোড করুন Bissoy অ্যাপ